কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী প্রতিনিধি: ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন অর্ধেক বেলা মিলছে সূর্যের দেখা।

ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের ফলে কাহিল হয়ে পড়েছে এ উপজেলার মানুষ। গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে শীতের তীব্রতা অনেকটা বৃদ্দি পেয়েছে। সন্ধ্যা হলেই গোটা উপজেলা জুড়ে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায়,গভীর রাত পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে গোটা উপজেলা।

কুয়াশার কারনে সড়ক-মহাসড়ক গুলোতে যানবহন চলাচলে বিঘেœর সৃষ্টি হচ্ছে, ফলে দুর পাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও মালামাল পরিবহন গুলো ঘন কুয়াশার কারনে তাদের গন্তব্যে পৌছিতে অনেক সময় লাগছে। যার ফলে যাত্রী সাধারণের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এবং সময় মতো গন্তব্যে যেতে না পারায় তাদের কাজকর্মের বেঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।

বৃহত্তর রংপুরের বিভিন্ন জেলা থেকে চাকুরীর পরীক্ষা দিতে ঢাকায় যেতে হয়, সময় মতো গন্তব্যে পৌছিতে না পারায় চাকুরীর পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারতেছে না বলে অভিযোগ করেছেন অনেক ভুক্তভোগী। ঘন কুয়াশার কারনে সড়ক-মহাসড়ক গুলো গুলোতে ঘটছে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা অকালে ঝড়ে যাচ্ছে অনেক তাজা প্রান এমনকি পঙ্গুত্ব বহন করতে হচ্ছে অনেককে।

গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচন্ড শীত ও শৈত্য প্রবাহের ফলে শিশুদের ডায়রিয়া,নিউমোনিয়া,জ্বর,সর্দীকাশি নিয়ে স্থানীয় হাসপাতাল গুলোতে ভর্তি হতে দেখা গেছে।

ভর্তিকৃত অধিকাংশ শিশুরা ৬ মাস থেকে ১ বছরের শিশুর সংখ্যাই বেশী। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রচন্ড শীতে ছিন্নমুল মানুষের কষ্টের শেষনেই শীতবস্ত্রের অভাবে তারা হাহাকার হয়ে পড়েছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক যেসব শীতবস্ত্র বিতরণ করছে তাও আবার রাতের আধাঁরে কিছু সংখ্যক চিহ্নিত ব্যক্তিকে।

সেখান থেকে বাদ পড়ছে প্রকৃত অসহায়,গরীব ও ছিন্নমুল মানুষ। স্থানীয় কিছু সংখ্যক সমাজসেবী সংগঠন এবং কিছু সংখ্যক দানবীর ব্যক্তির উদ্যোগেও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে যা চাহিদার তুলনায় একেবারে অপ্রতুল। প্রচন্ড শীত ও শৈত্যপ্রবাহে খেটে খাওয়া কর্মজীবি মানুষের কষ্টের শেষ নাই।

প্রচন্ড শীতের কারণে শ্রমজীবি দিন আনি দিন খায় এরকম শ্রেণির মানুষ গুলো বিপাকে পড়েছে এবং কাজ কর্ম করতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।

মানুষের পাশা পাশি তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়ছে গবাদি পশুরা এমনকি গো-খাদ্যেরও সংকট দেখা দিয়েছে বাড়ছে গো-খাদ্যের দাম।

ঘন কুয়াশার কারনে বিভিন্ন ফসলের বীজতলা পালা পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছ। আলু চাষীরা কুয়াশার কারণে চিন্তায় মাথায় ভাজ পড়েছে আলুর গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কীটনাশক স্প্রে করেও কোন কাজে আসছে না। আলু,আদা,বেগুন,লাউ,শিমসহ বিভিন্ন শীতকালিন ফসল গুলো বেশী ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস বলছে আরো দু-এক সপ্তাহ শৈত্যপ্রবাহ ও শীতের তীব্রতা বাড়বে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে