মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জে অটোবাইক, অটোভ্যান রাখার ক্ষেত্রে নেই কেন নিয়মকানুন বিশেষ করে রাস্তার দু’পাশে রাখার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ জনগণকে।

কিশোরগঞ্জ বাজার এলাকায় বিশেষ করে সন্ধার সময় এ সমস্যা বেশি করে দেখাযায় সাধারণ পথচারী, মোটরসাইকেল, রোগী নিয়ে যাওয়া এ্যাম্বুলেন্স, কাঁচা মাল সরবরাহ কারীগাড়ী সহ বিভিন্ন যানবাহনের প্রচুর ক্ষতি হয়। যত্রতত্র এ সব আটোবাইক ও অটোভ্যান রাস্তার দু,পাশে রাখার কারণে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। আর যেখানে, সেখানে দূর্ঘটনার স্বীকার হন সাধারণ মানুষ।

বিশেষ করে কিশোরগঞ্জ বাজার এলাকার ঝর্ণারমোড়, থানার মোর, বাইতুন্নুর মসজিতের মোড়ে, পুরাতন বাবু সেনেমা হলের সামনে রাস্তার উপরে অটোবাইক ও অটোভ্যান রেখে যাত্রী উঠানামা করে। এতে করে তীব্র যানযট সহ দূর্ঘটনা ঘটছে অনেক। কিন্তু দেখার কেউ নেই। নেই কোনো ট্রাফিক সিস্টেম যে যার মত করে গাড়ী রেখে বসে আছে তাদের অটোবাইক বা অটোভ্যানে করে।

এদের কোন নিময়কানুন নেই। কিন্তু হ্যা প্রতিদিন তাদের কাছ থেকে ১০ টাকা করে টোল আদায় করে কিশোরগঞ্জ কামারপাড়া গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে মোস্তফা। সে কিসের টাকা নেয়, এটা অটোবাইক ড্রাইভাররা জানেন না । তবে হ্যাঁ প্রতি রাতে একটি করে অটোবাইক কিশোরগঞ্জ থানা একটি করে দেয়া হয় পুলিশদের রাতের টহলে তাঁরাগঞ্জ কেল্লাবাড়ী পর্যন্ত যাতাযাত করার জন্য। রশিদ ছাড়া মোস্তফা প্রতিটি গাড়ী থেকে ১০ টাকা বাহিরের থানার গাড়ী আসলে ২০ করে টোল আদায় করে। কয়েকজন অটোড্রাইভার বলেন আগে তাদের কাছ থেকে মাসিক ১ শত করে টাকা নিত। কিন্তু নতুন চেয়ারম্যান আসার পর তা বন্ধ করে দিয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইলট বলেন, টোল আদায়ে কোন ছাড় নেই কিসের টোল, কোন প্রকার টোল নেয়া যাবে না। তিনি টোলের তীব্র নিন্দা করেন।

এ বিষয়ে টোল আদায়কারী মোস্তফা বলেন, এটা আগে থেকে নেয়া হয় তাই সবার কাছ থেকে নেয়া হয়। তাকে মাসিক চাঁদার বিষয়ে বললে তিনি বলেন আগে নেয়া হত এখন আর নেয়া হয় না। তাদের শ্রমিক রেজিঃ নং ১৯৯৮ এই নাম্বার ব্যবহার করে তারা টাকা আদায় করে। কিন্তু কোন রশিদ প্রদান ছাড়াই আটোবাইক, ইজিবাইক ড্রাইভারদের কাছ থেকে প্রতিদিন ১০ টাকা করে আদায় করে। কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৩ থেকে ৫ হাজারের উপরে অটোবাইক চলাচল করে। তাতে গড়ে প্রতিদিন মোস্তফা প্রায় কমপক্ষে সর্বনিম্ন বিশ হাজার টাকা আদায় করে। এবং এ টাকা নিচতলা থেকে উপর তলা পর্যন্ত পৌঁছায় তাই কেউ কিছুই করতে পারেনা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে-আলম- সিদ্দিকী বলেন আসলে বিষয়টি আমিও লক্ষ করেছি তবে এবার আইন সৃঙ্খলার মিটিংয়ে এটি তুলে ধরে একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখার ব্যবস্থা করা হবে।?

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিব কুমার রায়ের মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ না করার কারনে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে