কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী থেকেঃ নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাষিরা চলতি বছর সময়মত সার বীজ এবং গত বছর ভাল দাম পেয়ে আবারো ফিরছেন পাট চাষে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম ফসল পাট তার নিজস্ব স্বকীয়তা হারালে সরকার আবারো সোনালী আঁশের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে পাট কল চালুসহ পলিথিনের ব্যবহার কমিয়ে পাট ও পাটজাত পণ্য ব্যবহার বাড়াতে উৎসাহ দিচ্ছে ভোক্তাদের। আর এ পাট বিক্রি করে উপজেলার চাষিরা ভাল লাভের মুখ দেখছেন। পরিবেশ দূষণকারী পলিথিনের ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করে, সর্বত্র পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ ন্যায্যমূল্য পেলে আগামিতে পাট চাষে আরো আগ্রহী হয়ে উঠবে এমনটি জানান উপজেলার সংশ্লিষ্ট কৃষকগণ। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ- প্রান্তর,সড়কে দেখা যায় পাট চাষি ও শ্রমিকরা আঁশ ছড়ানো,শুকানো কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতোঃমধ্যে উপজেলার হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন পাট।ভাল ফলন ও আশানুরূপ দামও পাচ্ছেন তারা। উপজেলার পাট ব্যবসায়ী মোকছেদার জানান, গত বছর প্রতিমণ পাট বিক্রি হয়েছে ২৮ শ থেকে ৫৮ শ টাকা।এবার পাট ক্রয় করা হচ্ছে ১৪ শ থেকে ১৬ শ টাকা মন দরে। উঃ দুরাকুটি নদীর পাড় গ্রামের পাট চাষি জয়নাল জানান, গত বছর ১ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছিলেন, এবার করেছেন ২ বিঘা জমিতে।উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, চলতি বছর প্রায় ৪শ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে।আর পাটের ভাল দাম পেয়ে চাষিরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে।অন্যদিকে পাটকাঠি জ্বালানি হিসেবে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে