মোঃ বনি, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দা নাফিস সুলতানা করোনা (ওমিক্রনে) আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার ২৯ জানুয়ারি বিষয়টি নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকালে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মহামারির এই যুগে উপজেলাবাসীকে নিরাপদে রাখতে নিজের জীবনকে বাজী রেখে দিন রাত একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলা সেই মানবতার মা আজ নিজেই স্বীকার হলেন অদৃশ্য শক্তি মরণব্যধী করোনা ভাইরাস ওমিক্রনের।

করোনাযোদ্ধা এবং মাঠপর্যায়ে প্রশাসনের সাহসী এই নারী হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা সহ তার পরিবারের সদস্যরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন।আক্রান্তরা সবাই সরকারি বাসভবনে হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।এই নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আরও যে তিন জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারা হচ্ছে তার মাতা, স্বামী,ও কাজের বুয়া।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জামিনুর রশিদ জানান,নমুনা সংগ্রহের পর গতো ২২ জানুয়ারী ২০২২ খ্রীঃ তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানার করোনা(ওমিক্রন) পজেটিভ আসে। বর্তমানে সবাইকেই হোম কোয়ারেন্টাইন সরকারি বাসভবনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। এছাড়াও তার বাসায় অবস্থান করা আক্রান্তরা সবাই এখন অনেকটাই সুস্থতার পথে।

জানাগেছে করোনা ওমিক্রনে আক্রান্ত হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা তিনি করোনা প্রতিষেধক প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। অত্যন্ত সাহসী এই করোনা যোদ্ধা মনবল না হারিয়ে বাসায় আক্রান্ত অন্যদের নিয়ে স্বাস্থবিধি এবং নিয়মনীতি মেনেই চলছেন। এখন কিছুটা সুস্থ্যবোধ করছেন বলেও জানান তিনি। এই মহামারি যুগে করোনা ওমিক্রনে সুস্থ হওয়ার জন্য সবার কাছে দোয়া চান, করোনায় আক্রান্ত উপজেলা প্রশাসনের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে