ডেস্ক স্পোর্টসঃ ন্যু ক্যাম্পে নেমেছেন লিওনেল মেসি, মিউনিখের অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারিনায় নেইমার জুনিয়র, এমন রাতে চেলসি বনাম অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ম্যাচ কিছুটা আবেদন হারানোর কথা। কিন্তু স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে এই দুই দলই উপহার দিয়েছে গত রাতের সবচেয়ে উপভোগ্য ম্যাচ। মাঠের খেলা থেকে ম্যাচ শেষে ফলাফলেও দারুণ সমতা বজায় রেখেছে ইউরোপের দুই জায়ান্ট ক্লাব, ড্র করেছে ১-১ গোলে। তাতে অবশ্য চেলসির খুব একটা ক্ষতি হয়নি, তবে কপাল পুড়েছে অ্যাটলেটিকোর। ‘সি’ গ্রুপ থেকে তৃতীয় হওয়ায় শেষ ষোলোয় খেলা হচ্ছে না ডিয়েগো সিমিওনের শিষ্যদের।

শীর্ষস্থানে উঠতে চেলসির দরকার ছিল জয়। অন্যদিকে, পরের রাউন্ডে যেতে নিজেদের ম্যাচ জেতার সঙ্গে এএস রোমার হার প্রার্থনায় ছিল অ্যাটলেটিকো। কিন্তু রাতের অন্য ম্যাচে কারাবাগকে ১-০ গোলে হারিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে আসার সঙ্গে দুই দলেরই আশায় জল ঢেলেছে রোমা। গ্রুপে দ্বিতীয় হওয়ায় শেষ ষোলোয় চেলসির প্রতিপক্ষ হতে পারে বেসিকতাস, বার্সেলোনা কিংবা পিএসজি। ইউরোপিয়ান ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের হেভিওয়েট লড়াই শুরু হতে পারে পরের রাউন্ডেই।

দলের ফরোয়ার্ডদের গোল করতে না পারা ভোগাবে আন্তোনিও কন্তেকে। ম্যাচে ১৪টি শট নিয়েও গোল করতে পারেনি চেলসি। এর বড় কৃতিত্ব অ্যাটলেটিকোর গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাকের। গোটা সাতেক ‘সেভ’ করে ম্যাচের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় তিনিই।

আঁটসাঁট প্রথমার্ধের পর প্রথম গোলের দেখা পাওয়া গেল ৫৬ মিনিটে। কোকের কর্নারে আলতো টোকা দিয়েছিলেন ফার্নান্দো তোরেস। তাতে বল পেয়ে যান সল নিগেজ, গোল করে এগিয়ে দেন সিমিওনের দলকে। পশ্চিম লন্ডন তখন স্তব্ধ। কিন্তু মাঠে চেলসি হাল ছাড়েনি। পুরো ম্যাচে দারুণ খেলা সেস্ক ফ্যাব্রেগাস একের পর এক বল বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন ফরোয়ার্ডদের। আর হ্যাজার্ড, মোরাতাদের শট কখনো বাইরে যাচ্ছিল, কখনো ফিরে আসছিল ওবলাক নামের দেয়ালে লেগে।

৬৪ মিনিটে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে টিমো বাকায়োকোকে তুলে নিয়ে ফরোয়ার্ড পেদ্রো রদ্রিগেজকে মাঠে নামান কন্তে। তাতেই ৭৬ মিনিটে যেন প্রাণ ফিরে পায় চেলসি। বাঁ প্রান্ত ধরে ট্রেডমার্ক দৌড়ে অতিথিদের ডি বক্সে পৌঁছে যান এডেন হ্যাজার্ড। তাঁর ক্রস খুঁজছিল মোরাতাকে, কিন্তু অ্যাটলেটিকো ডিফেন্ডার স্তেফান স্যাভিচের পা বল ঠেলে দেয় নিজেদের জালে! বাকি সময়টায় মোরাতার বদলে মাঠে এসেছেন মিচি বাতশুয়াই। কিন্তু আক্রমণ-পালটা আক্রমণে ফলাফল-নির্ধারণী গোলটাই পাওয়া হয়নি দুই দলের।

গ্রুপ ‘সি’ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে যাচ্ছে রোমা। অ্যাটলেটিকোকে ফিরতে হবে ইউরোপা লিগ প্রতিযোগিতায়। আরও একবার চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে শূন্য হাতে ফিরলেন সিমিওনে ও তাঁর শিষ্যরা।

 

 

Pr/A/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে