বিডি নীয়ালা নিউজ(১৫ই মে১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ বর্তমান সরকারের আমলেই শিক্ষক হত্যার বিচার সম্পন্ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
রোববার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত সংহতি ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মাঠ পর্যায়ে সরকারের প্রশাসনিক দুর্বলতা আর রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়হীনতার বিষয়টি স্বীকার করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘বাঁচতে হলে নিরপেক্ষ হয়ে বসে না থেকে ১৪ দলকে সঙ্গে নিয়ে দূর্গ গড়ে তুলতে হবে। এই সরকারের আমলেই আপনারা শিক্ষক হত্যার বিচার সম্পন্ন হতে দেখবেন।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করে আমরা আগুনে হাত দিয়েছি। তাই হাত তো আমাদের পুড়বেই। এই পরাজিত শক্তি ছোবল দিয়ে রক্ত ঝরাবেই।’
রাবি সিনেট ভবনে আয়োজিত শিক্ষক সমিতি ও ১৪ দলের মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, ন্যাপের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল হক, ১৪ দলের নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ, মজিবুল হক বকু, এজাজ আহমেদ মুক্তা, ড. অসিত বরণ রায়, এস কে শিকদার, রেজাউর রশীদ খান, শাহাদাৎ হোসেন এবং মোহাম্মদ আলী ফারুকী।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. শহীদুল্লাহের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান, ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, নিহত শিক্ষকের কন্যা রিজওয়ানা হাসিন শতভী, ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী রকিবুল আলম সোহান।
মতবিনিময় সভায় মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, ‘রাজশাহীতে মৌলবাদী গোষ্ঠী ধীরে ধীরে ঘাঁটি গড়ে তুলছে। এদেরকে সমুলে উৎপাটন করতে প্রশাসন, ছাত্র সংগঠন এবং ১৪ দলের মধ্যে গড়ে ওটা দূরত্ব ঘুচিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ছাত্র সংগঠনগুলো অন্য সময় বীরদর্পে মারামারিতে লিপ্ত থাকলেও প্রয়োজনের সময় তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি মজবুত হলে মৌলবাদীরা মাথা তুলে দাঁড়ানোর সাহস পাবে না।’
শিক্ষক হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংহতি প্রকাশ করে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর রক্ত না শুকাতেই বান্দরবানে বৌদ্ধ ভিক্ষুকে হত্যা করা হয়েছে। তাই এই হত্যাকাণ্ডগুলোকে আঞ্চলিকভাবে দেখার সুযোগ নেই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে।’
সভায় আক্ষেপ প্রকাশ করে নিহত শিক্ষকের কন্যা রিজওয়ানা হাসিন শতভী বলেন, ‘আমরা প্রথম দিন থেকে বিচারের আশ্বাস পাচ্ছি কিন্তু খুনীদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া কতদূর তার কিছুই আমাদের জানানো হচ্ছে না। খুনের পরিকল্পনাকারী থেকে শুরু করে যে আমার বাবার ঘাড়ে কোপটা মেরেছিল তাদের প্রত্যেকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
সূত্রঃ বাংলামেইল