কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারীঃ মাগুড়া খামাত পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি পেড়িয়ে ভর্তি হন কিশোরগঞ্জ উপজেলার ঐহিত্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়।

সেখোনে সাফল্যের সাথে জেএসসি পাস করে এবং ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ভোকেশনাল শাখা থেকে একই বিদ্যালয়ে জিপিএ-৫ আর্জন করেন এতিম নুররবী ইসলাম।

কিন্তু ভাল ফলাফল করেও ছেলের ভর্তি নিয়ে অনিশ্চিতায় ভুগছেন বিধবা মা নুরজা বেগম। মানুষের বাড়িতে কাজ করে কোন রকম জীবন-জীবিকা চালাই ৫মাসের অন্তঃসত্তা অবস্থায় পৃথিবীতে আসার অগেই তার বাবা আব্দুর জব্বার না ফেরার দেশে চলে যান। শিশু জন্মের পর একমাত্র সন্তানের আদর করে এতিম নবীর নামনুসারে নাম রাখা হয় নুরনবী।

একমাত্র ছেলেই যেহেতু বেঁচে থাকার অবলম্বন তাই মায়ের স্বপ্ন ছিল দ্বিতীয় বিয়ে না করে ছেলেকে পড়াশুনা করে প্রতিষ্ঠিত করবে বলে কান্না জড়িত কণ্ঠে এই কথা গুলো বলেন মা নুরজা বেগম।

নুরনবী বাড়ি কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া তাল পাড়াগ্রামে সে মরহুম আব্দুর জব্বার ও মা নুরজা বেগমের একমাত্র ছেলে।

অত্র বিদ্যালয়ের ল্যাব এ্যাসিসটেন্ট সাফিউল ইসলাম সেলিম জানান নুরনবী ইসলাম খুব গরীব ও মেধাবী সে অনেক কষ্ট করে পড়াশুনা করেন তার এ ফলাফলে আমরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সকলেই আনন্দিত। নুরনবী ইসলামের সাথে কথা হলে সে জানায় আমার ভাল ফলাফলের পিছনে আমার মা এবং শ্রেণি শিক্ষদের যচেষ্ট অবদান রয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে