মারুফ সরকার , ঢাকা প্রতিনিধি: মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা। একজন সফল সংগঠক। একজন ব্যতিক্রমী মানুষ। অপার সম্ভবনাময় একজন নেতৃত্ব। তৃণমূল ও জাতীয় রাজনীতিতেও মঞ্জুর হোসেন ঈসা একটি পরিচিত নাম। তিনি একজন সক্রিয় অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্লগার। পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের সবচেয়ে আধুনিক সংস্করণ অনলাইন সাংবাদিকতার সাথে কাজ করছেন। সদালাপি ও বন্ধুপরায়ণ ঈসা সবার পাশে থাকেন। আসুন মঞ্জুর হোসেন ঈসা সম্বন্ধে জানি ।
মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসার জন্ম ১৯৭৮ সালের ১ মার্চ খুলনা খালিশপুরে। বাবা নূর হোসেন আশরাফি । তিনি একজন প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। মা সায়েরা বেগম একজন গৃহীণী। ঈসার শৈশব কাটে খুলনা খালিশপুরে।
তার স্কুল জীবন শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী প্লাটিনাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় খালিশপুর, খুলনায়, পরবর্তীতে খুলনা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন। ৯০ দশকে স্কুল ছাত্র অবস্থায় ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন এবং তখনই বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করেন।
তিনি ১৯৯৮ সালে ঢাকায় আসেন। খুলনায় হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজ খালিশপুরে ছাত্র রাজনীতি করতেন। এই কলেজ থেকেই পড়া-লেখা সমাপ্ত করেছেন। ছাত্র অবস্থায় হাইস্কুল ও কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি খালিশপুর থানা জাতীয় ছাত্র সমাজের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ১৯৯২-১৯৯৪ পর্যন্ত। যখন এরশাদ ছিলেন কারাগারে। যে এরশাদ কারাগার থেকে মুক্তি পান সেদিনই ছাত্র সমাজ থেকে পদত্যাগ করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যোগ দেন। বিএনপিও তখন বিরোধী দলে। খালিশপুরের ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নিজের ব্যাপারে মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, খুলনাতেই থাকাকালীন সময় ছাত্র রাজনীতির পাশাপশি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করি। পরবর্তীতে ঢাকায় এসে সাপ্তাহিক কলমবাজী’তে লেখালেখি শুরু করি। পাশাপাশি ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাথে কাজ করি। এরপর তেজগাঁও থানা জাতীয়তাবাদি তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। পরর্বতীতে তাঁতী দলের ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। এরপর খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হই এবং বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের খুলনা-বাগেরহাট-পিরোজপুর মাধ্যমিক তাঁতী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। ১৯৯৯ সালে মাগুরা জেলা তাঁতী দলের কর্মীসভা শেষে ঢাকায় ফেরার পথে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলায় বাঘাটে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে গাড়ী চালক মৃত্যুবরন করেন এবং আমার ডানহাত ভেঙ্গে মারাত্মক ক্ষতি হয়। বর্তমানেও ডানহাতে সমস্যা রয়েছে। এছাড়াও ১৯৯৯ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দক্ষিন অঞ্চলে রোডমার্চে যান। আমি সে সময়ে রোড মার্চে অংশ গ্রহন করি। মাদারীপুর কাজীরটেক এলাকায় ২০০১ সালে দেশনেত্রীর উপরে শাসক দল ও পুলিশ হামলা করে। সে সময়ে আমি মাদারীপুর থেকে আমাকে অপহরন করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ উদ্বার করে গ্রেফতার দেখায় এবং ১মাস ৬ দিন মাদারীপুর কারাগারে কারারুদ্ধ থাকি।
একজন সাংবাদিক হিসেবে ঈসা ফাস্টনিউজ বিডি২৪ডটকম, ভয়েজ অব জিয়া সেনা অনলইন সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদক হিসেবে কাজ করি, https://khaskhabor.net/ এর প্রধান উপদেষ্টা ও https://71vision24.com/ এর সম্পাদিকীয় মন্ডলীর সভাপতি । অনলাইন সাংবাদিকদের স্বার্থ সংরক্ষণে https://boja-central.org/ বাংলাদেশ অনলাইন জার্নালিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন(বিওজেএ) এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছি। বর্তমানে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
তিনি বলেন, বিএনপির সহযোগি সংগঠন জিয়া সেনার সাথে যুক্ত হই ১৯৯৯ সালে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। তখন সভাপতি ছিলেন আবুল হাসনাত। পরে সভাপতি হন আবদুর রহমান তপন। সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরীর স্ত্রী প্রতিষ্ঠালগ্নে এই সংগঠনের উপদেষ্টা ছিলেন। আমি জিয়া সেনার কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি তেজগাঁও থানা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। দীর্ঘ সময়। বিএনপির সহযোগী সংগঠন ঐক্য পরিষদের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। ১/১১ এর সময় বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক একাডেমি ও বাংলাদেশ সচেতন যুব সমাজের ব্যানারে বিএনপি নেতাদের নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেছি। তখন সরকারি চাপ এসেছে। পালিয়ে থাকতে হয়েছে। জীবনের তৃণমুল থেকে আসতে অনেক ত্যাগ ও রাজনীতির পরীক্ষা দিতে হয়েছে। জীবনে অর্থ সম্পদ না হলেও মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। মঞ্জুর হোসেন সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক একাডেমির সহ সভাপতি, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, শেরে বাংলা পথ শিশু স্কুলের উপদেষ্টা, এশিয়া হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি, কান্ডারী বার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম এবং যুব কন্ঠ টুয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। এমটিভি৭১ এর চেয়ারম্যান, বাংলা টিভি ৭১ এর পরিচালক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছি।
এছাড়াও খুলনা জেলা সমিতির আজীবন সদস্য, পেশাগত জীবনে সামাজিক সংগঠন আরট ফাউন্ডেশনের বরিশাল বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। আমার আয়ের উৎস হলো গ্রীন বাংলা সফটওয়্যার নামক সফটোয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। আমি রাজনীতি করে টাকা আয় করিনা। বরং ব্যক্তিগত অর্থ ব্যয় করে রাজনীতি করি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইনে মঞ্জুর হোসেন ঈসা একটি পরিচিত মুখ।
সাভার ট্রাজেডি, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার আন্দোলন, টিপাইমুখ আন্দোলন,ঢাকায় গুম খুনের প্রতিবাদে একাধিক কর্মসূচী পালন করেছে, মায়ের ডাক সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরবারের যে সমস্ত অনুষ্ঠান হয় সেই সব অনুষ্ঠানে সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। সম্প্রতি গাজায় মুসলমানদের উপর নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে মানবাধিকার সমিতির পক্ষ থেকে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচী পালন করেছেন এবং পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ, হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি সংসদ নামে একটি পেজ করে হুমায়ূন আহমেদের জন্য ফেসবুকে আন্দোলন ও এসব বিষয়ে সব সংবাদ প্রচার করছে।
এছাড়াও সাংবাদিক কমরেড নির্মলন সেন, প্রখ্যাত সাংবাদিক আতাউস সামাদ নামে ফেসবুক পেজ করে তাদের কাজকে তুলে ধরেছে। আমরা ড. ইউনূসের পাশে দাঁড়াই নামে পেজ করেছে। আমরা নোবেল বিজয়ী ড.ইউনূসকে গণসংবর্ধনা দিয়েছি। ফেলানী হত্যা দিবসের ব্যপারে প্রচারণা ও অনুষ্ঠান করেছি। আন্তর্জাতিক ভাবে ফেলানী দিবস হিসেবে পালনের দাবিতে আন্দোলন করছি। অনলাইনে দিনের অধিকাংশ সময়ে সক্রিয় থাকেন অনলাইন অ্যাক্টিবিস্ট ঈসা। ঈসার লেখা পান্ডুলিপি আছে। বেঙ্গলি নিউজ টোয়েন্টিফোরডটকম, নিউজ এজেন্সিটোয়েন্টিফোর.কম, ইসলামিক নিউজটোয়েন্টিফোর.কম, সবুজবাংলাটোয়েন্টিফোর.কম, বাংলাদেশপ্রেস.কম, আরটিএনএন.কম, বেষ্টনিউজ.নেট, কান্ডারী বার্তা টুয়েন্টিফোরডটকম, স্বাধীনতা টুয়েন্টিফোরডটকম, ক্রাইম সার্চ টুয়েন্টিফোরডটকম, লাইফবার্তা২৪.কম সহ যুগান্তর, আমার দেশ, নয়াদিগন্ত, ইনকিলাব, দিনকাল, সংগ্রাম, নানা বিষয়ে পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
এছাড়াও সামহোয়ার ইন ব্লগ, প্রথম আলো ব্লগ, বিডি নিউজ ব্লগে লিখছেন নিয়মিত।
নিজের পরিবারের ব্যাপারে ঈসা বলেন, আমার এক ছেলে এক মেয়ে। স্ত্রী গৃহীণী। মেয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্য্যালয়ে মার্কেটিং বিবিএ শেষ বর্ষে আর পুত্র খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(কুয়েট) বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কন্সট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট বিভাগ এর ১ম বর্ষের ছাত্র।আমার মূলত গ্রীন বাংলা সফটওয়্যার নামক প্রতিষ্ঠান এর সম্মানী দিয়ে সংসার চলে। পাশাপাশি লেখালেখির মাধ্যমেও আয় করে থাকি।
একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান সংগঠক ঈসা বলেন, রাজনীতি যারা করেন তারা রাজনীতি থেকে আয় করেন বলে অনেকে মনে করেন। আমি নিজের আয় করি রাজনীতির বাইরে থেকে। ব্যক্তিগত আয় থেকে রাজনীতি করি। নিজের নানামুখি কর্মকান্ডে ভাস্বর ঈসা। নিজের আরও কাজের ব্যপারে বলেন, বাংলাদেশে যখন জনপ্রিয় ফুটবলার লিওনেল মেসি আসেন তখন অপন কমিউনিকেশনের মিডিয়া উইংয়ের দায়িত্ব পালন করি। সম্প্রতি আবদুল্লাহ ইভেন্ট টাচ নামে একটি ফার্মে পরিচালক হিসেবে যুক্ত হয়েছি।
নিজের স্বপ্নের ব্যপারে ঈসা বলেন, রাজনীতি নিয়ে পরিকল্পনা করি একটি ইতিবাচক রাজনীতির জন্য। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রচলিত রাজনীতি থেকে জনগণকে বের করে সুন্দর ও স্বচ্ছ রাজনীতি দেখাতে কাজ করবো। তিনি বলেন, রাজনীতিকরা রাজনীতিকে সামনে রেখে নিজের স্বার্থ হাসিল করেন। আমি এই ধারাবাহিকতার বাইরে আসতে কাজ করছি। রাজনীতির বাইরেও দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে মানুষের পাশে কাজ করেছি। সাংবাদিক সংগঠক ঈসা অনলাইন সাংবাদিক সংগঠন বাংলাদেশ অনলাইন জার্নালিষ্ট অ্যাসাসিয়েশন (বিওজেএ) নিয়ে স্বপ্ন দেখেন।
তিনি বলেন, অনলাইন সাংবাদিকতা বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দিচ্ছে। আগামীর প্রজন্ম হবে প্রযুক্তিবান্ধব প্রজন্ম। যার ধারাবাহিকতা এখনি শুরু হয়েছে। কাগজের পত্রিকা টিকতে হিমশিম খাচ্ছে।
মঞ্জুর হোসেন বলেন, নতুন প্রজন্ম কাগজের প্রিন্ট করা পত্রিকার দিকে তাকানোর সময় পাবেনা। নতুর প্রজন্মের জন্য এটি একটি প্রাপ্তির খাত। নতুন কর্সংস্থান হচ্ছে অনলাইন সংবাদমাধ্যমে । সব মিলিয়ে অপার সম্ভাবনার সেক্টর হিসেবে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিকশিত হচ্ছে। অনলাইনের সাংবাদিককে ইন্টারনেট, কম্পিউটারের কাজ,টাইপ করার কাজ পারতে হয়। কম যোগ্যতার সাংবাদিকরা অনলাইন মাধ্যমে আসতে পারেনা। কারন এটি খুবই দ্রুতগতির ও প্রতিযোগিতামূলক প্রযুক্তভিত্তিক মাধ্যম। এসএসসি পাশ করেও অনেক কাগজের পত্রিকার সম্পাদক রয়েছেন। তবে অনলাইনে অযোগ্যদের স্থান নেই। অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরা ব্যক্তিগতভাবে একধাপ এগিয়ে থাকেন। অনলাইন সাংবাদিকতার বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে ঈসা বলেন, সরকার অনলাইন মাধ্যমকে নীতিমালা করে কণ্ঠরোধ করছে। সরকারকে অনুরোধ করবো ক্ষমতার শেষ প্রান্তে এসে অনলাইনে কোন প্রতিবন্ধকতা না করলেই ভালো করবে। আমাদের বিওজেএর’র বিভিন্ন জেলা কমিটি হয়েছে। দেশের বাইরেও কমিটি হয়েছে। আমাদের আন্তর্জাতিক টিম খুবই শক্তিশালী। নতুন বছরে অনলাইন নীতিমালা নিয়ে আন্দোলন করবো। আমরা ওয়ার্কশপ ও শিক্ষামূলক প্রোগ্রামের আয়োজন করবো। তবে অনলাইন সংবাদমাধমে আরও এগিয়ে যেতে হবে। সংবাদ যাচাই করে প্রকাশ করতে হবে। তবে অনলাইন সাংবাদিকতাই আগামীর মিডিয়ার নেতৃত্ব দিবে।
মঞ্জুর হোসেন ঈসা দুই নেত্রীকে দেশের স্বর্থে ইতিবাচক রাজনীতি করার আহ্বান জানান।
শেরে বাংলা, মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বীরউত্তম জিয়াউর রহমান, জেনারেল ওসমানিদের মত জাতীয় ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক না করে যার যার যতটুকু অবদান রয়েছে, দেশ ও জাতির জন্য তাকে তার অবদানের স্বীকৃতি দেয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
বর্তমানে মহাজোটের শরিক যুক্তফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি’র মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। ভবিষ্যতে এনডিপিকে নিয়ে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায় কাজ করার আগ্রহ রয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি’র চেয়ারম্যান হিসেবে সারাদেশে সংগঠনের কর্মকান্ডকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে, দেশের বাহিরেও লন্ডন, কানাডা, ফ্রান্স, ইটালী, আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সংগঠনের প্রতিনিধি রয়েছে। করোনাকালীন সময়ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক কার্য্যক্রম পরিচালিত হয়েছে এছাড়াও বিভিন্ন দূর্যোগে সংগঠনটি মানবতার পাশে নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী কাজ করে চলেছে।যেখানেই মানুষের অধিকার হরন হয়েছে সেখানেই সংগঠনটি সোচ্চার থেকেছে। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যহত রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি জন্মস্থান নির্বাচনী এলাকা ১০১, খুলনা – ০৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী) হতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করার আগ্রহী।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে