এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন।

একই সময় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে পরীক্ষার ফল প্রকাশের মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বোর্ডগুলোর কাছ থেকে ফলাফল গ্রহণ করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, সিলেটে পাসের হার ৯৪.৮০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৩১ জন, কুমিল্লায় পাসের হার ৯৭.৪৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ১৫৩ জন, বরিশালে পাসের হার ৯৫.৭৬ শতাংশ, জিপিও ৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৯৭১ জন, দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৯২.৪৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৯ জন।

চট্টগ্রামে পাসের হার ৮৯.৩৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭২০ জন, যশোর শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯৮.১১ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০৮৭৮ জন। রাজশাহীতে পাসের হার ৯৭.২৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ হাজার ৮০০ জন। ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে গড় পাশের হার ৯৫.৭১ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৬৮৭ জন শিক্ষার্থী।

এ বছর সারা দেশে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ১১ লাখ ৪০ হাজার ৬৮০ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় ১১ লাখ ১৫ হাজার ৭০৫ জন। পাস করেছে ১০ লাখ ৬৬ হাজার ২৪২ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫২২ জন।

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ১৬৭ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৬ হাজার ৫৭৯ জন। পাস করেছে ১ লাখ ১ হাজার ৭৬৮ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৮৭২ জন।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৭ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৭ জন। পাস করেছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ জন। পাসের হার ৯২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৭৭৫ জন।

সাধারণত প্রতিবছর এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। তবে ২০২১ সালে সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক নৈর্বাচনিক তিনটি বিষয়ে মোট ছয়টি পত্রে পরীক্ষা হয়।

SO/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে