স্কাউট আন্দোলন সম্প্রসারণ ও বেগবান করে আগামী প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে স্কাউট নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ স্কাউটস দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’ যথার্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উপলক্ষে সব পর্যায়ের স্কাউট সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল সর্বস্তরে পৌঁছানোর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের বিভিন্ন সংস্থাকে পুনর্গঠন করেন। বঙ্গবন্ধুর আন্তরিক ইচ্ছায় ১৯৭২ সালের ৮ এপ্রিল দেশে স্কাউটিংয়ের নবযাত্রা সূচিত হয় এবং ওই বছর স্কাউটিংকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এ প্রেক্ষাপটে প্রতিবছর ৮ এপ্রিল ‘বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

আবদুল হামিদ বলেন, শিশু, কিশোর ও যুবকদের সুস্থ শরীর, সুন্দর মন, সুশৃঙ্খল জীবন গঠন এবং স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্কাউটিং অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে এর গুরুত্ব অপরিসীম। স্কাউট পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশের শিশু, কিশোর ও যুবদের সৎ, চরিত্রবান, যোগ্য ও আত্মনির্ভরশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বাংলাদেশ স্কাউটস ইতিবাচক অবদান রাখছে। সরকার বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্য অর্জনে যুবসমাজকে সৎ, আদর্শবান ও দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

বাংলাদেশ স্কাউটস দিবসের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে