কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর আত্রাইয়ে ডুবাই সুইজগেট খালে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাগুড়ার বিল সহ বিভিন্ন জলাশয়ে ছেড়ে দেওয়া মুক্ত মাছ নিধন করছে কতিপয় ব্যক্তি।মৎস্য অফিসের নাকের ডগায় এই অবৈধ নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরলেও নীরব ভূমিকায় মৎস্য- সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা।

জানা যায়, সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য মাগুড়া বিল সহ বিভিন্ন বিলে ও জলাশয়ে কয়েক মন মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। যাতে এই মাছগুলো মুক্ত জলাশয়ে বড় হয়ে এলাকার বিভিন্ন খালওজলাশয়ে বড় হয়ে বংশ বিস্তার করতে পারে। এতে এসব মুক্ত জলাশয়ে সারা বছর মাছ পাওয়া যাবেএবং সেখান থেকে মাছ ধরে এলাকার গরীব মৎস্যজীবিরা জীবিকা নিবাহ করবে।

কিন্তু একটি মহলের আশ্রয়ে কতিপয় মৎস্যজীবি নিষিদ্ধ সুতির জাল দিয়ে বড় না হতেই সব রকমের মাছ ধরে ফেলছে। এতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের মাছ বংশ বিস্তার করতে না পারায় মুক্ত জলাশয থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে মাছ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিশা ইউনিয়নের ডুবাই সুইজগেট সংলগ্ন আত্রাই নদীর মহনায় ডুবাই গ্রামের পাশ দিয়েবয়ে গেছে মাগুড়ার বিল ওখালটিতে সারা বছর পানি জমে থাকে এস ছেড়ে দেওয়া মাছগুলো মুক্ত ভাবে বড় হয়ে বংশ বিস্তার করতে পারে।

অথচ এইখালে কিছু লোক মৎস্য আইন ও উপজেলা মৎস্য অফিসকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে বিভিন্ন মহলে ম্যানেজ করে নিষিদ্ধ এই সুতির জাল দিয়ে প্রায় দুই মাস যাবৎ মাছ ধরে আসছে। এতে এ অঞ্চলে মা মাছ থেকে শুরু করে সকল প্রকারের মাছ ধরা পড়ছে এই মরণ ফাঁদ সুতির জালে। স্থানীয় মৎস্যজীবি । জামাল(চল্লিশ) জানান, আমরা আদি পুরুষ থেকে মৎস্য জীবি। মাছ ধরে আমরা জীবিকা নির্বাহ করি।

কিন্তু দুই মাস হয়ে গেল প্রভাবশালী মহলের জোরে কতিপয় মৎস্যজীবি নামধারী ব্যক্তি নিষিদ্ধ এই সূতির জাল দিয়ে মাছ ধরছে এই খালে। অথচ এ ব্যপারে কেউ তাদের কিছুই বলছে না। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার পলাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান,সূতি জাল নিষিদ্ধ। এই জাল দিয়েমাছ ধরা বে-আইনি। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বার্হী অফিসার ও পুলিশ প্রশাসন সহ তিন বার অভিযান চালানো হয়েছেএবং অবৈধ সুতি জাল কেটে পুরানো হয়েছে। এর পরও যদি আবারো সুতি জাল দিয়ে থাকে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে