মারুফ সরকার , বিশেষ  প্রতিনিধি :ব্রিটিশ ও পাকিস্থান আমলে স্বাধীনতার পক্ষের একজন লড়াকু সৈনিক ছিলেন মাওলানা শামছুল হুদা পাঁচবাগী মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, কিংবদন্তির এক হচ্ছেন মহানায়ক মাওলানা পাচাবাগী।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে তিনি সরাসরি স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষ গ্রহণ করেন । ১৯৭১ সালে তিনি হায়েনাদের হাত থেকে হিন্দু, মুসলমান পুরুষ ও মা বোনদের রক্ষা করতে তার বাড়ীতে মসজিদে ও মাদরাসায় আশ্রয় দান করেন। তাদের ইজ্জত ও জীবন রক্ষা করে সকলের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকেন। মুক্তিযুদ্ধে তার বাড়িতে শরণার্থীদের তিনি খাবারের ব্যবস্থা করতেন এবং মুক্তিযুদ্ধে আগ্রহী যুবকদেরকে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনের জন্য নির্দেশ দিতেন।

মঙ্গলবার শাহাজানপুরস্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বাধীনতার মহানায়ক মাওলানা শামছুল হুদা পাচবাগীর ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় গণমুক্তি আন্দোলন আপয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মাওলানা শামছুল হুদা পাঁচবাগী আরো একটি কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। বাংলার প্রথম স্বাধীনতাকামী রাজবন্দি বলা হয় তাকে। এমনকি বিষয়টি জাতীয় সংসদেও স্বীকৃত। জীবদ্দশায় তিনি এতই জনপ্রিয় ছিলেন যে, একাধারে তিন দশক ধরে তিনি এমএলএ এবং এমএনএ নির্বাচিত হন।

তিনি আরো বলেন, শেরেবাংলা ও মাওলানা ভাসানীর শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব মাওলানা শামসুল হুদা পাঁচবাগী, ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনিই প্রথম ইশতেহার সাহিত্য রচনায় হাত দেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলা, ইংরেজি, আরবি, উর্দু ও ফার্সি ভাষায় ১০ হাজারেরও অধিক ইশতেহার প্রকাশ করেন। তার পকিস্তান বিরোধী ইশতেহারগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ‘মিছে কেন পাকিস্তান জিন্দাবাদ, ইংরেজকে তাড়াই পাঞ্জাবি আনতে যাই, বাংলা নহে স্বাধীন, বাংলা চির পরাধীন’, ‘পাকিস্তান হয় ফাঁকিস্তান, পাকিস্তান হবে জালেমের স্থান।’

জাতীয় গণমুক্তি আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সংগঠনের যুগ্ম সমন্বয়কারী মাওলানা আবু জাফর রেদোয়ানী, সমন্বয় কমিটির সদস্য আবদুল হালিম, আবদুল কাইয়ূম মাহমুদ, আফরোজা বেগম, ইমরুল হাসান প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে