ডেস্ক রিপোর্টঃ এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ১৭টির মধ্যে ১২টি বিষয়ের এমসিকিউ অংশের ‘খ’সেটের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। প্রশ্নফাঁস নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে প্রশ্ন ফাঁস হলেও কোনো পরীক্ষা বাতিল করা হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই কমিটির প্রতিবেদনে সুপারিশের ভিত্তিতে শিক্ষামন্ত্রী এমন কথা জানান। তিনি বলেন, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের সুবিধাভোগীর সংখ্যা শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ৪-৫ হাজার শিক্ষার্থীরে কারণে ২০ লাখের বেশি পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল না করার পক্ষে মত দিয়েছে কমিটি। তাই এসএসসির কোনো বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশের কারণে বাকি ৯৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ পরীক্ষার্থীর ফলাফলে প্রশ্ন ফাঁসের প্রভাব পড়বে না। পুনরায় পরীক্ষা নিয়ে বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীকে ভোগান্তিতে ফেলা সমীচীন হবে না-বিবেচনায় নিয়ে কোনো পরীক্ষা বাতিল না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড প্রশ্নফাঁসের কোনো তথ্য বা অভিযোগ না থাকায় সে পরীক্ষা বাতিলেরও কোনো প্রশ্ন আসে না।

প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসএসসির ১৭টি বিষয়ের মধ্যে ১২টি বিষয়ের শুধু ৩০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) অংশের চারটি সেটের মধ্যে ‘খ’ সেটের প্রশ্নফাঁস হয়েছে। তবে কোনো বিষয়ের রচনামূলক (সৃজনশীল) অংশের ৭০ নম্বরের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কিছু ক্লোজ গ্রুপে প্রশ্ন শেয়ারের ঘটনা ঘটেছে। যদিও হাতে গোনা কয়েকটি গ্রুপের ফাঁস ও হওয়ার প্রশ্ন মূল প্রশ্নের সঙ্গে মিলেছে, তবে বেশিরভাগ গ্রুপের প্রশ্ন সঠিক ছিল না। এ ধরনের ক্লোজ গ্রুপের সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০টি। আর সদস্য হবে সব মিলিয়ে ১০ থেকে ১০০ জন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নফাঁসকারী বেশিরভাগ চক্র ফেসবুকে আগেই ছবি পোস্ট করে অনলি মি (শুধু নিজে দেখতে পারবে) করে রাখতো। পরীক্ষা শেষে প্রশ্ন সংগ্রহ করে।

B/D/P/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে