আসাদ হোসেন রিফাতঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় ব্যানারে ওই চেয়ারম্যানের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি লেখা থাকলেও বিক্ষোভকারীরা তিস্তা নদীর বাধ চাই স্লোগান দেয়।

মিছিলটি বৃহস্পতিবার বিকেলে আলোচিত সমালোচি বৈরালী হোটেল থেকে বের হয়ে তিস্তা ব্যারাজ মুখে যাত্রা শুরু করলে দোয়ানী চেক পোষ্টে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা গেট ভেঙ্গে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যায়। পরে হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু তাদেরকে অনুরোধ করে সরিয়ে দেয়। এরপর সেই বৈরালী হোটেলের সামনে গিয়ে মশিউর রহমান মামুনের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন বিক্ষোভকারীরা।

জানা গেছে, গত সোমবার প্রকল্পের হিসেব চাওয়ায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনের সাথে বাকবিতন্ডা হয় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহারের। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেসমিন নাহার ওই দিন রাতে হাতীবান্ধা থানায় উপজেলা চেয়ারম্যান মামুনসহ ৮জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মামুন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিনকে মারধর ও লাঞ্চিত করেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও ওসি এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। তাই আমরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছি। ব্যানারে মামুনের বিচার চাই আর স্লোগান দিচ্ছেন তিস্তা নদীর বাধ চাই এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা মামুনের বিচার চাই, তিস্তা নদীর বাঁধও চাই।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু বলেন, বিক্ষোভকারীদের বার বার অনুরোধ করা হয়েছে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন না করার জন্য। পরে তারা চলে যায়।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন বলেন, ভাইস চেয়ারম্যানকে কোন মারধর করা হয়নি। তারাই আমার উপর চরাও হয়। প্রকল্পের হিসেব চাওয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাটক সাজিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার বলেন, মামুন ও তার লোকজন আমার অফিস ভাংচুর করে এবং আমাকে মারধর করে। থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ এখনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল বলেন, আমরা এ বিষয়ে কোন গড়িমসি করছি না। ওই ঘটনায় এখনো তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে সঠিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে