জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী, জেলা প্রতিনিধিঃ নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’, ‘নারায়ে রেসালাত, ইয়া রাসুলুল্লাহ’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো নীলফামারীর সৈয়দপুর শহর। প্রতিটি পাড়া মহল্লা, মসজিদ মাদরাসা, খানকাহ ইয়াতিমখানাসহ কাব সমিতি থেকে দলে দলে লোকজন সমবেত হয়ে সমস্বরে উচ্চারণ করছেন নাতে রাসুল ও দরুদে নবী সাল্লাল্লাহ। দীর্ঘ প্রায় ৫ কিলোমিটার লম্বা আনন্দ মিছিল (জশনে জুলুস) প্রদক্ষিণ করে প্রধান প্রধান সড়ক। ঘন্টাব্যাপী চলা এই জুলুসে প্রায় অর্ধ লাধিক মুসলমানের অংশগ্রহণে হয়ে উঠে মিলন মেলা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই মিলাদুন্নবীর আনন্দ মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত থেকে আগত পীরে কামেল আওলাদে রাসুল খতিবে আযম সৈয়দ কালিম আশরাফ জিলানী।

রবিবার (৯ অক্টোবর) ১২ রবিউল আউয়াল বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মদিন উপলে সকাল ৮ টা থেকে শহরের প্রতিটি এলাকা হতে ছোট ছোট মিছিল এসে সমবেত হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে মাঠে। বেলা সাড়ে ১০ টায় সম্মিলিত মিছিল বের করা হয়।

এতে প্রায় শতাধিক পিকআপ, ইজিবাইক, ট্রাকসহ পায়ে হেটেই অংশগ্রহণ করেন নবী প্রেমিকরা। মিছিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আহসান আদেলুর রহমান আদেল।

মিছিল শেষে বেলা ১২ টায় রেলওয়ে মাঠে অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ, দোয়া মাহফিল। এতে সভাপতিত্ব করেন আ›জুমানে গাউসিয়া আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত এর সভাপতি আলহাজ্ব নুরউদ্দিন আশরাফী। উপস্থিত ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের নীলফামারী জেলা সভাপতি আলহাজ গুলজার আশরাফী, আ›জুমানে গাউসিয়ার সভাপতি হাজী জুবায়ের এমাদি ও সাধারণ স¤পাদক হাজী তাসলিম আশরাফী।

এছাড়াও ছিলেন সৈয়দপুরে জশনে জুলুস আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য মাওলানা রেজওয়ান আল কাদরী, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য রাকিব খান, আল সামস চুন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত সৈয়দপুর থানা সভাপতি হিটলার চৌধুুুরী ভলু, সহ-সভাপতি ফারুক এমাদী, পৌর সভাপতি শফি রেজা।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের পৌর সাধারণ সম্পাদক খালিদ আজম আশরাফী। এতে হামদ ও নাতে রাসূল (সা.) পরিচালনা করেন আনোয়ার রেজা আশরাফী ও হায়দার আলী এমাদী। শেষে মোনাজাত করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পীরে কামেল আওলাদে রাসুল খতিবে আযম সৈয়দ কালিম আশরাফ জিলানী।

উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালে সৈয়দপুরে প্রথম এই মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুস কার্যক্রম প্রচলন করেন শহরের বাঁশবাড়ী খানকাহ কাদেরিয়া তেগীয়ার পীর শাহ সূফী গোলাম জিলানী কাদেরী তেগী। সেই থেকে নিয়মিতভাবে এর আয়োজন করা হয় এবং ক্রমান্বয়ে তা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েতে পরিণত হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে