সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৯০ হাজার ৬৪টি।তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টির (জাপা) আতিকুর রহমান আতিক পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭৫২ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে নৌকা প্রতীক ৬৫ হাজার ৩১২ ভোট বেশি পেয়েছেন। ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) টানা ভোটগ্রহণ করা হয়।

ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক এম কাজি এমদাদুল ইসলাম কন্ট্রোল রুম থেকে রাত পৌনে ৯টায় ফলাফল ঘোষণা করেন। চূড়ান্ত ফলাফলে তিনি হাবিবুর রহমান হাবিবকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।  

১৪৯ কেন্দ্রের ফলাফলে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী মোটরগাড়ি (কার) প্রতীকে ৫ হাজার ১৩৫ ভোট এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ডাব প্রতীকে ৬৪০ ভোট পেয়েছেন। এ আসনে মোট তিন লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৩ ভোটারের মধ্যে ১৪৯ কেন্দ্রে বৈধ ভোটের সংখ্যা এক লাখ ২০ হাজার ৫৯১টি। তবে কোনো ভোট বাতিল হয়নি।

এবারই প্রথম সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনের নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।  

এদিন সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে ফলাফল ঘোষণাকালে কন্ট্রোল রুমে হাজির হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক। এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনেকটা সুস্থ সুন্দর হয়েছে। তিনি হাবিবের বিজয় সুনিশ্চিত ধরেই সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তবে নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে গিয়ে মানুষ কিছুটা বিভ্রান্ত হয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনের উচিত ইভিএমে কেবলমাত্র একটি বাটন রাখা। যাতে সেখানে চাপ দিলেই ভোট হয়ে যায়।

এ আসনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শফি আহমেদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া।

চলতি বছরের ১১ মার্চ করোনা আক্রান্ত হয়ে সিলেট- ৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি)  মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩ এর দফা (৪) অনুযায়ী, উক্ত শূন্য আসনে ৮ জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও করোনার কারণে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় শূন্য আসনটিতে ৮ জুন পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষণা করে ইসি। সেই তফসিল অনুযায়ী গত ২৮ জুলাই এ আসনের উপ-নির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এর দুদিন আগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন আদালত। পরবর্তীতে ৪ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করে ইসি।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে