SIRAJGONJ PHOTO-2

বিডি নীয়ালা নিউজ(২১ই এপ্রিল১৬) মারুফ সরকার (বিভাগীয় প্রতিনিধিরাজশাহী):   সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে কৃষক আব্দুল কুদ্দুস হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে বিশাল মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে রায়গঞ্জ-ব্রহ্মগাছা আঞ্চলিক সড়কের হামিন-দামিন গ্রামে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এতে এলাকার নারী-পুরুষ, কৃষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, ব্যবসায়ী অংশ নেয়।

ঘন্টাব্যাপি চলা মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিন্নাহ আলমাজী, ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার লিটন, দপ্তর সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টিটু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান মিষ্টি, বাগবাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী হোসেন মল্লিক, ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহিদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, নিহতের বড় চাচা আখতার হোসেন, ভাতিজা রুবেল আহমেদ বাবু, ইদ্রিস আলী, হবিবর রহমান, নিজাম উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, স্থানীয় মুরুব্বী জালাল উদ্দিন, আবু সাইদ, মুন্নু সেখ, মোস্তহার, আছাব উদ্দিন, শিক্ষক গোলবার হোসেন, ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম, আইনাল হোসেন, করম আলী সেখ, আজাহার আলী প্রমুখ।

মানববন্ধনের খবর পেয়ে কৃষক আব্দুল কুদ্দুসের পরিবারকে শান্তনা দিতে আসেন রায়গঞ্জ-তাড়াশ আসনের এমপি গাজী ম.ম. আমজাদ হোসেন মিলন, রায়গঞ্জ পৌরসভার মেয়র গাজী আব্দুল্লাহ আল পাঠান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম শরীফ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব। বক্তারা বলেন, রায়গঞ্জের কৃষক আব্দুল কুদ্দুস হত্যাকান্ডের দীর্ঘ দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও কোন আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি প্রশাসন। তারা অনতিবিলম্বে কৃষক কুদ্দুস হত্যা মামলার মূল আসামীসহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জোর দাবী জানান। উল্লেখ্য, রায়গঞ্জ উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের হামিন দামিন গ্রামে বিএডিসি প্রকল্পের এস আর-১২৬ গভীর নলকুপের পানি দেয়াকে কেন্দ্র করে আব্দুল কুদুস ও হবিবর রহমানের সাথে মামলা চলছিল। ২০১৬ সালের ১২ মার্চ শনিবার সকালে আব্দুল কুদ্দুস তাঁর ফসলী জমিতে নলকুপের পানি দিতে আসে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় আব্দুল কুদ্দুস (৩৫)সহ অন্তত ৫ জন আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুদ্দুসকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে সে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সীমা খাতুন বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৭ মার্চ রায়গঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার আসামীরা হলো: আশিকুর রহমান লিটন, রহিম সরকার, রফি, হবিবর রহমান, সুমন, আসলাম, মঞ্জু, মোকলেস, আব্দুল কুদ্দুস, জিয়া, আবু সাইদ, সুজন, সাইদুল ইসলাম, সাইফুল, মোজদার, আলম, জিয়াউর, শফি, দেলবার হোসেন, মজিবুর ও নূরুল ইসলাম।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে