সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রতি বছর কার্তিক মাস থেকেই শীতের আমেজ লক্ষ্য করা যায়।এবারে অগ্রহায়ণ মাসে শীত ও হালকা কুয়াশা অনুভব হচ্ছে।শীতের শুরুতেই সলঙ্গা থানা সদরসহ ৬ টি ইউনিয়নের হাটবাজার ও ফুটপাতে চলছে শীতবস্ত্রের জমজমাট বেচাকেনা। মধ্য ও নিম্নবিত্ত আয়ের বেশির ভাগ মানুষ ফুটপাতের দোকান থেকে শীতের কাপড় কেনাকাটা করছে।বর্তমানে গ্রাম এলাকায় শীতের তীব্রতা একটু বেশী মনে হচ্ছে।শীতের কারনে সর্দি,কাশিসহ ঠান্ডাজনিত নানা রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে।বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই শীতকালীন রোগ ও শীত পোহাতে শীতবস্ত্র কিনছে সলঙ্গাবাসী।

গুড়িগুড়ি বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে গতকাল বৃহ:বার ঐতিহ্যবাহী সলঙ্গা হাটে দেখা যায় সাধারন ক্রেতাদের ফুটপাতে শীতের কাপড় কেনার ভীড়। অগ্রণী ব্যাংক হতে ভুষাল হাটা পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা গরম কাপড়ের পসড়া সাজিয়ে বসে আছে।

শুধু তাই নয়,সলঙ্গা বাজারের প্রসিদ্ধতম সিয়াম গার্মেন্টস এ মানসম্মত বিদেশী কম্বল বিক্রি সহ বাজারের বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে শীতবস্ত্র বেচাকেনা করছে।

জনতা ব্যাংকের সামনে ফুটপাতে বসা ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ বলেন, আমরা সারা বছরে ব্যবসার তেমন সুযোগ পাই না। শীতের সময়ে একটু বাড়তি ব্যবসা করার সুযোগ পেয়ে থাকি।

পাশে বসা অপর এক ব্যবসায়ী বলেন,শীত আর কুয়াশা না হলে শীতবস্ত্রের ব্যবসা করে মজা পাই না।কারন শীত এলেই ফুটপাতের ব্যবসা জমজমাট হয়।

নারী ক্রেতা সুফিয়া বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ।দামী কম্বল কেনার মত সামর্থ নাই। তাই শীতের শুরুতেই তুষ কম্বল কেনার জন্য সলঙ্গার ফুটপাতের দোকানে এসেছি।

সলঙ্গা বাজারে সবার পরিচিত বনবাড়িয়ার ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন ভ্যান গাড়িতে মাইক্রোফোন সাটিয়ে সলঙ্গা বাজারের বিভিন্ন অলি-গলিতে জ্যাকেট,জাম্পারসহ শীতের পোশাক বিক্রি করছেন। এ ছাড়াও বাজারের কাপড় পট্রি (টুঙ্গি ঘরে)এর দোকানগুলোতেও জমজমাট ভাবে চলছে শীতের কাপড় বেচাকেনা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে