ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা-দিল্লী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বের নতুন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী গতকাল এখানে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় একথা বলেন।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার গত এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের উল্লেখ করে বলেন, অত্যন্ত সফল ওই সফরকালে দু’দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও ২৪টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে নিরাপত্তা, বাণিজ্য, কানেক্টিভিটি, জ্বালানি, বেসামরিক পরমাণু চুক্তি, প্রতিরক্ষা এবং নতুন বাস ও ট্রেন সার্ভিস চালুসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সকল ক্ষেত্র পরিবেষ্টন করা হয়েছে।
ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ককে বিশেষ উল্লেখ করে মুয়াজ্জেম আলী বলেন, প্রতিরক্ষা খাতে ৫শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণসহ নতুন পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ভারতীয় ঋণ বাংলাদেশ কাজে লাগাবে।
হাইকমিশনার বলেন, নয়াদিল্লীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ করা হয়েছে।
হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা করছেন এবং তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের মানসিকতায় পরিবর্তন এনেছেন।
হাইকমিশনার মুয়াজ্জেম আলী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে তাঁর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ২০১৫ সালের জুন মাসে তাঁর ঢাকা সফরকালে আমাদের সম্পর্ক একটি নতুন মাত্রায় পৌঁছে।
তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের ৬৮ বছর পর এবং ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা-মুজিব সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের ৪১ বছর পর দু’দেশের মধ্যকার স্থল সীমান্ত চুক্তি (এলবিএ) অনুমোদন ও কার্যকর হয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেখিয়েছেন দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা কিভাবে আলোচনা, সহানুভূতি ও মতামত গঠনের মাধ্যমে সমাধান করা যায়।
হাইকশিমনার বলেন, নিরাপত্তা সহযোগিতা, জ্বালানি, ব্যবসা-বাণিজ্য, কানেক্টিভিটি এবং জনগণ পর্যায়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির অর্জন করেছে।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে