মারুফ সরকার, বিনোদন প্রতিনিধি: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনকে ঘিরে আলোচনা ছিল তুঙ্গে। দুই প্যানেলেই ছিল তারকাপ্রার্থীদের চমক। ছিল উল্লেখ করার মতো হেভিওয়েট নারী প্রার্থী। ২১টি পদে ভোটের লড়াইয়ে লড়েছেন ১০ নারী প্রার্থী। এর মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন ৮ জন। হেরেছেন কাঞ্চন নিপুণ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার ও নির্বাহী সদস্য পরীমনি। গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে বিজয়ী নারী প্রার্থীরা হলেন অঞ্জনা, রোজিনা, সুচরিতা, অরুনা বিশ্বাস, মৌসুমী,শাহনূর, কেয়া ও জেসমিন। ২০২২-২৪ মেয়াদে কার্যপরিষদে তারা কী ভূমিকা রাখেন এখন এটাই দেখার পালা।

অভিনেত্রী অঞ্জনা মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে ২২৫টি ভোট পেয়ে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হন। গত দুই বছরে তেমন কিছু না করতে পারলেও এবার ভালো কিছু করার প্রচেষ্টা থাকবে বলে জানান এই অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রথমবার যখন নির্বাচিত হয়েছিলাম তখন অনেক কিছু করতে পারিনি, নতুন আসছি- এভাবে দেখতে দেখতে তো দুটো বছর চলে গিয়েছে। আমাদের কিছু ভুল-ত্রæটি ছিল। পরের বার যখন নির্বাচিত হলাম তখন চিন্তা করেছিলাম এবার কিছু করার, আর তখনই তো পৃথিবীতে কোভিড পরিস্থিতিতে স্তব্ধ করে দিয়েছে সব। সে সময় অসহায় শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানো ছাড়া তেমন কিছু করতে পারিনি। এবার যে প্রতিশ্রæতি দিয়েছি যতটা সম্ভব চেষ্টা করব এক এক করে রাখতে।’

অভিনেত্রী রোজিনা মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে ১৮৫টি ভোট পেয়ে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন।

অভিনেত্রী সুচরিতা মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে ২০১টি ভোট পেয়ে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

চিত্রনায়িকা মৌসুমী মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে ২২৫টি ভোট পেয়ে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন। নিজেদের মধ্যে কোনো বিভেদ না রেখে তিনি সবার সঙ্গে মিলেমিশে শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করতে চান।

মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে ১৯২টি ভোট পেয়ে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাস। সহমর্মিতা সৌহার্দ্য নিয়ে পারিবারিক বন্ধনে থাকার প্রত্যাশার কথা জানালেন তিনি। তিনি আরো বলেন, ‘সব শিল্পীর প্রতি সমান গুরুত্ব থাকুক এ বিষয়ে নজর দেব। শিল্পীরা যেন তাদের যোগ্য সম্মানটা পায়। অনেকের অর্থনৈতিক সমস্যা থাকলে আমরা চেষ্টা করব তাদেরকে সহায়তা দেয়ার। শিল্পীদের শুটিংয়ে যাতায়াত ব্যবস্থা ও তাদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ এগুলোতে গুরুত্ব থাকবে।’

অভিনেত্রী শাহনূর কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে ১৮৪টি ভোট পেয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন। শিল্পীদের মধ্যে দূরত্ব কমে আসুক এমনটাই প্রত্যাশা করছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, ‘টেলিভিশন অভিনয় শিল্পীদের মতো আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পীরাও মিলেমিশে একটা বন্ধনে থাকুক। যারা একদিনেরও সিনিয়র শিল্পী জুনিয়ররা যেন তাদেরকে সম্মান করে। চলচ্চিত্রের এখন যে খারাপ অবস্থা যাচ্ছে এটা কীভাবে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব তা সবাইকে মিলে পরিকল্পনা করতে হবে। আমাদের মধ্যে যদি সহমর্মিতা সহানুভূতি না থাকে তাহলে কিন্তু আমরা এগোতে পারব না।’

চিত্রনায়িকা কেয়া কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে ২১২টি ভোট পেয়ে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন। সদস্য পদ হারানো শিল্পীদের সদস্য পদ ফিরিয়ে দেয়ার জন্য কাজ করতে চান কেয়া। তিনি আরো বলেন, ইশতেহারে যেগুলো ঘোষণা দেয়া আছে কার্যকরী কমিটিতে থেকে তাদের সঙ্গে সেগুলো পূরণ করা। তাদের পাশে থেকে কাজ করতে চাই।

এছাড়াও কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে ২০৮ ভোট পেয়ে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেত্রী জেসমিন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে