ডেস্ক রিপোর্টঃ শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি সার্ভিস সোয়া ১১ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার রাত ১১টা থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই ফেরি সার্ভিস ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। এই দীর্ঘ সময় ধরে কনকনে শীতে যানবাহনসহ ছয়টি ফেরি মাঝ পদ্মায় আটকা পড়ে। ফেরিতে থাকা সহ¯্রাধিক যাত্রী অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। দু’পারে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে আট শতাধিক যান।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের ম্যানেজার গিয়াস উদ্দিন পাটুয়ারী জানান, দীর্ঘ সময় ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দু’পারে পারাপারের অপেক্ষায় যানবাহনের ভিড় বেড়েছে। প্রায় ৮শ’ যান দু’পারে অপেক্ষা করছে। তবে ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় তা কমতে শুরু করেছে।
এভাবে ফেরি বন্ধ থাকায় যেমন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এদিকে রো রো ফেরিতে ফগ লাইট স্থাপন করলেও তার সুফল পাওয়া যায়নি। তবে রাডার স্থাপন করে শনিবার রো রো ফেরি শাহ মকদুম এবং শাহ পরান চলাচল করেছে। শিমুলিয়ায় চারটি রো রো সহ ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। এরমধ্যে শুধু তিনটি রো রো ফেরিতে রার্ডার স্থান করা হয়েছে। তবে রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনে রাডার থাকলেও চ্যানেলে পানি কম থাকায় এটি চলাচল করছে না। পানি কমের কারণে এটি জোয়ার ধরে চলাচল করছে। এছাড়া অপর রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর আলমে রার্ডার এখনও স্থাপন করা হয়নি।
এসব তথ্য দিয়ে বিআইডব্লিউটিসি’র এজিএম খন্দকার শাহ নেওয়াজ খালিদ জানান, প্রাকৃতিক সঙ্কট ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচলের ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের নতুন সংযোজন। এর আগে রাডার আনা হলেও দক্ষ জনশক্তি না থাকায় ব্যবহার হয়নি। তবে এবার কার্যকর হয়েছে। রাডারের মাধ্যমেই পুরো ম্যাপ উঠে আসছে। এতে পথের নির্দেশনা স্পষ্ট পাওয়া যাচ্ছে।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে