আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইউক্রেন ছেড়ে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া এবং দেশটির কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণে থাকা ক্রিমিয়া উপদ্বীপের একটি কলেজে বন্দুক হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। রাশিয়া যেখানে ক্রিমিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি সেতু নির্মাণ করছে, সেই কার্চ এলাকার টেকনিক্যাল কলেজে বুধবার এ হামলা হয়।

কিছু সশস্ত্র লোক কলেজ ভবনে ঢুকে পড়ে হামলা চালায় বলে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন কলেজের পরিচালক। তিনি ঘটনাটিকে ২০০৪ সালের বেসলান স্কুল অবরোধের ঘটনার সঙ্গে তুলনা করেন। ওই ঘটনায় প্রায় ৩৩০ জন নিহত হয়েছিল।ক্রিমিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, হামলাকারীদের অন্তত একজন ক্যাফেটেরিয়ায় বোমা পেতেছে এবং ভবনের ভেতরে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে।

বিবিসি জানায়, প্রাথমিকভাবে কর্মকর্তারা বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণ ঘটার কথা বললেও পরে হামলার শিকার সবাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন। রাশিয়ার তদন্তকারীরা এ হামলার জন্য ভ্লাদিস্লাভ রোসলিয়াকভ নামের ১৮ বছরের এক ছাত্রকে দায়ী করেছেন এবং সে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন।

ঘটনাটিকে প্রথমে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলা হলেও রাশিয়ার তদন্ত কমিটি এখন এ ঘটনাকে ‘নির্বিচার হত্যাকাণ্ড’ বলছে। রাশিয়ার ন্যাশনাল গার্ড ইউনিটের সদস্যদেরকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছেন, হামলার শিকার হওয়া বেশিরভাগই কলেজের শিক্ষার্থী।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনের দক্ষিণের একটি উপদ্বীপ ক্রিমিয়া ২০১৪ সালে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়।

K/K/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে