প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যশোর আগমন উপলক্ষে ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে দলে দলে লোকজন মিছিল নিয়ে যাচ্ছেন শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে। প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখার জন্য মানুষের ঢল নেমেছে জনসভাস্থলে। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল থেকেই যশোর শহরের বিভিন্ন সড়কে দেখা যাচ্ছে এ দৃশ্য।

যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের নিজ এলাকা শহরের কাজীপাড়া থেকে একটি বিশাল মিছিল ৮টা ৪৫ মিনিটে স্টেডিয়াম অভিমুখে যায়। ভুভুজেলা বাজিয়ে নেচে-গেয়ে মিছিলটি জনসভার স্থান যশোর শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে ঢোকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এ মিছিলে কাজী নাবিল আহমেদের ছবিসংবলিত টি-শার্ট এবং লাল-সবুজ টুপি পরা অসংখ্য মানুষ অংশ নেয়।


সকাল ১০টার দিকে বিশাল মিছিল নিয়ে যশোর-১ আসনের এমপি শেখ আফিল আহমেদের নেতৃত্বে একটি মিছিল জনসভাস্থলের দিকে আসে। ১০ মিনিট পর যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদারের নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল আবদুর রাজ্জাক কলেজ গেট দিয়ে জনসভাস্থলে ঢোকে।


এছাড়া যশোর ৮ উপজেলাসহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে নেতাকর্মীরা বিশাল মিছিল নিয়ে জনসভায় যোগ দেন। দুপুর ১২টার মধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় জনসভাস্থল।


আরও পড়ুন: যশোরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা /অভিনব ‘নৌকায়’ পথে পথে ঘুরছেন শহর আলী


বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত হকাররা

অসংখ্য মানুষ প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় আছেন। আর অপেক্ষমাণ এসব মানুষের মধ্যে অনেকেই হকারদের কাছ থেকে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য কিনে যাচ্ছেন। এ জন্য সেখানে বেড়ে গেছে হকারদের আনাগোনা।


ভোর ৫টায় ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার কামারখালী থেকে যশোরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মোহাম্মদ হাসান, তার বড় ভাই মোহাম্মদ রাজন আর প্রতিবেশী শহিদুল ইসলাম। তারা যশোরে পৌঁছেছেন সকাল ৭টার দিকে। তিনজনই এসেছেন মূলত জনসভায় সাধারণ মানুষের কাছে মসলামাখানো আমড়া-পেয়ারা-শসা বিক্রির জন্য।


মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘আমি মূলত সিজনাল হকার। যশোরে বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করেছি। সকালে দুই ভাই মিলে প্রতিবেশী বন্ধু শহিদুলকে নিয়ে এসেছি মসলাযুক্ত আমড়া, পেয়ারা ও শসার প্যাকেট বিক্রি করতে। প্রায় পাঁচ হাজার টাকার মালামাল কিনেছি। আশা করছি, ৮ হাজার টাকার মতো বিক্রি হবে।

SO/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে