ডেস্ক রিপোর্ট : জেলায় এবার ২৩শ’ হেক্টর জমির আমবাগান থেকে ৪১ হাজার ৫শ’ মেট্টিক টন আম উৎপাদন হবে। যা থেকে বর্তমান বাজারদরে ১৫৫ কোটি টাকার আম বেচাকেনার হবে বলে আশা করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এছাড়া এবার ২য় বারের মতো আম রফাতানি থেকে আসবে বৈদেশিক মুদ্রা।
এখন জেলার ৯ হাজার আমচাষী এখন ৫ হাজার ছোট বড় বাগানের আম বাজারজাত নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আম চাষের দিক থেকে প্রথমে নাম আসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর। তবে স্বাদে ও ঘ্রানের দিক থেকে মেহেরপুরের আম বিখ্যাত। এখন মেহেরপুর জেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সব জাতের আমেরই চাষ হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর কৃষিজমিতে তৈরী করা হচ্ছে আমের বাগান।
আম চাষী শাহীনুর রহমান জানান, তিনি ২য় বারের মতো এবার ইউরোপিয়ানভূক্ত দেশে আম রফতানি করবেন। চলতি বছর ২শ’ টন আম যাবে ইউরোপিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে। এজন্য জেলার বিভিন্ন আমবাগানে ব্যাগ পদ্ধতিতে আমচাষ হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে আমের রাজা হিমসাগর আমকে ছড়িয়ে দিতে মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০১৫ সালে উদ্যোগ নেয়। সেই উদ্যোগে জেলার ১৫টি বাগান নির্বাচন করা হয়। রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান সেসব বাগান থেকে প্রথমবারের মতো ৪৫ হাজার আম সংগ্রহ করে। এবার যাবে ২শ’ টন আম। নির্ধারিত বাগানগুলোতে গাছের আমে কার্বন ব্যাগ পরিয়ে রাখা হয়েছে। আম চাষীদের প্রতিটি কার্বন ব্যাগ কিনতে হয়েছে ৪ টাকা করে। এসব ব্যাগ ২বছর ব্যবহার করা যাবে।
মেহেরপুর থেকে গত বছর আম রফতানি হয়েছিল মাত্র ১২ টন। এ বছর সেটি বেড়ে ২০০ টনে উন্নীত হয়েছে। আম রফতানি নিয়ে কাজ করা নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সংস্থা সলিডারিডেড নেটওয়ার্ক।
বারাদি হর্ট্টিকালচার সেন্টারের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জাহিদুল আমিন জানান, নিয়মিত জাত ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাতি, হিমসাগর ও আশ্বিনা জাতের বেশি আম বাগান মেহেরপুরে। বর্তমানে গবেষণাকৃত বারি-৩, বারি-৪ জাতের বাগান তৈরির ক্ষেত্রেও আগ্রহী হয়ে উঠছে অনেকে। সেসব আমও ইরোপিয়ানভুক্ত দেশে রফতানি করা হচ্ছে। এছাড়া নতুন বারি জাতের ‘ম্যাংজ্ঞো ব্যানানা’ আমের চাহিদা ব্যাপক। এ জাতের আম জুলাই-আগস্টে পাকে। অসময়ে এবং সুস্বাদুর কারণে ‘ম্যাংজ্ঞো ব্যানানা’ আমের চাহিদা বেড়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক এস এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ এলাকায় আম বাগানের উন্নয়ন ,ফলন বৃদ্ধি, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং নুতন জাত সম্প্রসারণে নুতন কলা-কৌশল ব্যবহার করার জন্য একটি আম গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা হলে পার্শ্ববর্তী জেলাতেও আম বাগান সম্প্রসারিত হবে। এছাড়া মেহেরপুর যে কৃষি খামার গড়ে ওঠেছে তাতে আম গবেষণা কেন্দ্রও গড়ে তোলা সম্ভব। এজন্য শুধু পরিকল্পনার দরকার।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে