ডেস্ক রিপোর্টঃ ২০১৯-২০ অর্থ বছরে শুধুমাত্র মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খাতে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা বর্তমান ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের উন্নয়ন বরাদ্দের তুলনায় ৫৪ শতাংশ বেশি।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাবনায় একথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতায় দেড় হাজারটি বেসরকারি কলেজ ও তিন হাজার বেসরকারি স্কুলের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলতি জুনের মধ্যে শেষ হবে। সারাদেশে ২৬ হাজার ২০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪৮ হাজার ৯৪৭টি মাল্টিমিডিয়া শ্রেণি কক্ষ, ২০০টি ল্যাংগুয়েজ কাম আইসিটি ল্যাব, এক হাজার টি সায়েন্স ল্যাব, ২ হাজার ১২০টি স্মার্ট শ্রেণিকক্ষ, ৪৬টি হোস্টেল নির্মাণ এবং আসবাবপত্র, অফিস সরঞ্জামাদি ও আইসিটি উপকরণ সরবরাহ করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দেশে ১২৫টি উপজেলায় ‘আইসিটি ট্রেনিং এন্ড রিসোর্স সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং আরও ১৬০টি উপজেলায় তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খাতে সর্বমোট ২৯ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। যা বর্তমান ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ছিল ২৫ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খাতে মঞ্জুরি ও বরাদ্দ দাবিসমূহে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত বরাদ্দের মধ্যে পরিচালন খাতে ১৯ হাজার ৬৯৭ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ৯ হাজার ৯২৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, মাল্টিমিডিয়া ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ক্লাসরুম পরিচালনার জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আওতায় বিভিন্ন বিষয়ে ৩ লাখ ৪ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খাতে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। এসবের মধ্যে রয়েছে- প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিতরণ এবং পাঠ্যপুস্তক সহজলভ্যকরণের জন্য ওয়েব সাইটে প্রকাশ, নতুন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ এমপিওভূক্তকরণ, মেধাবৃত্তিসহ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান। ৩১ হাজার ৩৪০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠা। একই সাথে মাল্টিমিডিয়া ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ক্লাসরুম পরিচালনার জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিভিন্ন বিষয়ে ৩ লাখ ৪ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এছাড়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ৩২৩টি সরকারি বিদ্যালয়ে ভৌত অবকাঠামোসহ সার্বিক উন্নয়ন কাজ করা হবে।

বাসস

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে