জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন কর্তৃক মাদার তেরেসা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ আলাল। মানব সেবায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরুপ তাঁকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে।

সম্প্রতি ঢাকার সেগুনবাগিচায় কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলা মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সংক্রান্ত স্মারক ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। আদর্শ সমাজ গঠনে শিক্ষাবিদ ও জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে এসব তুলে দেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান আলোচক ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী, উদ্বোধক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রাক্তন প্রো-ভিসি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডক্টর শহীদুল্লাহ সিকদার।

সংগঠনের ১০ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংস্থা বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতাউল্লাহ খান। সঞ্চালনায় ছিলেন মহাসচিব এম. এইচ আরমান চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা ও সংবাদ সংস্থা আইএনবি’র চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জাকির আহম্মাদ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থার ডিপুটি ডিরেক্টর এডিশনাল এসপি কবি নুরুল ইসলাম বিপিএম।

এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির বিষয়ে আব্দুল মুয়ীদ আলাল বলেন, ছাত্র জীবন থেকেই জনসেবা ও সমাজ উন্নয়নমূলক কাজের সাথে জড়িত। রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততার সুবাদে শিক্ষাজীবন শেষে জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্থানীয় সরকার প্রশাসনের প্রাথমিক ধাপ ইউপি নির্বাচনে ওয়ার্ড মেম্বার পদে অংশগ্রহণ করি। জীবনের প্রথম নির্বাচনেই বিপুল ভোটে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ। এরপর পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবেও মনোনীত হয়েছি।

এমতাবস্থায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংস্থা কর্তৃক সমাজ ও জনসেবার স্বীকৃতি স্বরুপ সম্মাননা পাওয়া সত্যিকার অর্থে বড় প্রাপ্তি। যা আমার কর্মস্পৃহা বৃদ্ধিসহ মানসম্পন্ন সেবা প্রদানে আমাকে আরও বেশি অনুপ্রানীত করেছে। এজন্য বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ কে ধন্যবাদ জ্ঞাপনসহ কামারপুকুর ইউনিয়নবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আগামীতেও যেন সকলের ভালোবাসা ও সহযোগীতা নিয়ে এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থেকে তাঁদের জন্য কাজ করতে পারি সেই দোয়া চাই ৷

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে