ডেস্ক রিপোর্টঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬ পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুই পুলিশ সদস্যকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার দিবাগত রাতে সেই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হলেও রবিবার সকালে গ্রেফতারকৃত সেই মাদক ব্যসায়ীকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের ওপর এলাকাবাসীর হামলার ঘটনায় পুলিশ ২৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে বলে জানা গেছে।

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুন জানান, শনিবার রাতে গোপালপুর পৌর এলাকার কোনাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ শফিকুল নামে এক যুবককে ৩৭ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। তার নামে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়। আজ রবিবার সকালে শফিকুলের এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধ করে যানবাহন ভাংচুর শুরু করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে।

তিনি আরও বলেন, এসময় এলাকাবাসীর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহতদের মধ্যে ২ পুলিশ সদস্যকে গোপালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে সুমন ও সোহেল নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশ।

গোপালপুর পৌরসভার মেয়র রকিবুল হক সানা জানান, নিরীহ মসলা মিলের মালিক শফিকুলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রবিবার সকালে তার স্বজনরা গোপালপুর থানায় শফিকুলকে দেখতে গেলে এ সময় পুলিশের সাথে কথাকাটির ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ তাদের উপর লাঠিচার্জ করে। এতে ১২ বছরের এক কিশোরীর হাত ভেঙ্গে যায়।

তিনি আরও বলেন, এ খবর কোনাবাড়ী গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী মিছিল ও রাস্তা অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ কোনাবাড়ি গ্রামের গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ নারী ও শিশুদের উপর লাঠিচার্জ করে।

এদিকে, এলাকাবাসীর দাবি পুলিশ মাঝে মধ্যেই নিরীহ লোকজনকে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে গ্রেফতার অভিযান চালায়। কোনাবাড়ী এলাকা থেকে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা কেউই মাদকের সাথে জড়িত নয়।

B/P/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে