brtc-bus

বিডি নীয়ালা নিউজ(৭ই এপ্রিল১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ  ঢাকা মহানগরীতে উন্নত ও সারা দেশের সমন্বিত ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণপরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা চিন্তা করা হচ্ছে। ভারত থেকে আরও ৬০০ এসি, ননএসি, সিঙ্গেল ডেকার ও ডাবল ডেকার বাস কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন(বিআরটিসি)। তবে আর্টিকুলেটেড বাস কেনার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে বিআরটিসি।

প্রতিটি ৭২ লাখ টাকা দরে তিনশ’ ডাবল ডেকার, প্রতিটি ৬৯ লাখ টাকা দরে একশ’টি এসি সিঙ্গেল ডেকার, প্রতিটি ৭০ লাখ টাকা দরে একশ’টি সিঙ্গেল ডেকার এসি ইন্টারসিটি ও প্রতিটি ৪২ লাখ টাকা দরে একশ’টি সিঙ্গেল ডেকার নন-এসি বাস কেনা হবে। এসব বাসের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছে ১২ বছর। ভারতীয় কোম্পানি অশোক লেল্যান্ডের কাছ থেকে বাসগুলো কেনা হবে।

বাসগুলো কিনতে মোট ব্যয় করা হবে ৫৮০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, যার মধ্যে ৪৩৪ কোটি ৩২ লাখ টাকাই ইন্ডিয়ান লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) থেকে আসবে।

বিআরটিসি সূত্র জানায়, পুরনো ও অচল বাস প্রতিস্থাপন, ট্রাফিক সমস্যা সহজীকরণ ও ঢাকাসহ শহরতলীর বায়ু দূষণসহ পরিবেশ দূষণ কমানো হবে। বর্তমানে বিআরটিসি’র প্রায় ১ হাজার ৫৫২টি বাস চলাচল করছে, যার মধ্যে এলওসি লাইনের মাধ্যমে ইতিমধ্যে কেনা ৪২৮টি বাস অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ বাসবহরে ৫৮৮টি পুরনো বাস রয়েছে, যেগুলো পরিবেশ দূষণ করছে।

সূত্র জানায়, যাত্রী সাধারণের কাছে বিআরটিসি বাসের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু বাসের স্বল্পতার কারণে বিআরটিসি’র পক্ষে যাত্রীদের এ চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে ২০১৮ সালের মধ্যেই কেনা হবে ৬০০টি ভারতীয় বাস।
ভারত থেকে আরো দুই বিলিয়ন ডলার (২০০ কোটি ডলার) নমনীয় ঋণ (এলওসি) পেয়েছে বাংলাদেশ। অবকাঠামো বিশেষ করে রেল, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও তথ্য প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ এ অর্থ ব্যবহার করতে পারবে। এসব কাজ বাস্তবায়নে অন্তত ৭৫ শতাংশ পণ্য ও সেবা অবশ্যই ভারত থেকে আমদানি করতে হবে।

বাংলাদেশ সরকার এবং ভারতীয় এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে দুই বিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ ঋণের পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা (এক ডলার= ৮০ টাকা ধরে)। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি’র সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন এবং ভারত সরকারের পক্ষে এক্সিম ব্যাংক অব ইন্ডিয়া’র  চেয়ারম্যান  ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক যদুভেন্দ্র মাথুর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফরে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন, আমাদের অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে দুই বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবেন। সেটা বাস্তবায়িত হয়েছে। আগেও এক বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছিল ভারত। ঋণের সুদের হার ও শর্ত চলমান দুই বিলিয়ন ডলারের ঋণের মতোই হবে। সে হিসেবে নতুন ঋণের সুদহার হবে ১ শতাংশ। নতুন ঋণে মোট ১৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি বলেন, এ ১৪টি প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম ‘বিআরটিসি’র জন্য দ্বিতল, একতলা এসি ও নন-এসি বাস সংগ্রহ’ প্রকল্প। প্রকল্পটি আমরা পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার জন্য পাঠিয়েছি। পিইসি সভা অনুমোদন দিলেই একনেকে প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে।

চেয়ারম্যান বলেন, ভারতীয় ঋণে কেনা ৬০০টি  বাস ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরকে গুরুত্ব দিয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো। যাতে করে বাসগুলোর মাধ্যমে অল্প টাকা দিয়ে ভালো মানের সেবা পেতে পারেন যাত্রীরা।

সূত্রঃ বাংলা নিউজ ২৪

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে