মোঃ আসাদুজ্জামান পাভেল, ডিমলা (নীলফামারী) থেকেঃ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার কারণ ও তার প্রতিকার বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের নিয়ে ১দিন ব্যাপী নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৮-মার্চ) দিনব্যাপী উপজেলা পরিষদ হলরুমে এল জি সি প্রকল্প কর্মসূচির আওতায়, ইউনিসেফ এর সহযোগিতায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অংশগ্রহণে এ নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: নাজমুন নাহার মুনের সভাপতিত্বে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ বাংলাদেশ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগীয় জোনের প্লানিং এন্ড মনিটরিং প্রোগ্রাম অফিসার সোনিয়া আফরিন।

এল জি সি প্রকল্পের নীলফামারী জেলা সমন্বয়কারী আবু রায়হান মিয়া’র উপস্থাপনায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হালিম, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার দাশ, ডিমলা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন, ডিমলা আরবিআর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরআলম সিদ্দিকী বাবলু, ডিমলা পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হানিফ সরকার, ডিমলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র রায়, কমিনিউকেশন ফর ডেভেলপমেন্ট এর উপজেলা সমন্বয়কারী নির্মলেন্দু রায়, ইউনিয়ন সমন্বয়কারী মনছুরা মনা, জয়া মজুমদার, আব্দুর সালেক, উপজেলা নির্বাহী অফিস কার্যালয়ের অফিস সহকারী রোকনুজ্জামান রোকন প্রমুখ।

নাগরিক সংলাপে শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার কারণ সম্পর্কে, শিশুদের হাইজিং, স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও বাল্যবিবাহ নিরোধ এবং শিশুর অধিকারের আইনসহ সার্বিক বিষয়ে তুলে ধরে উন্মুক্ত আলোচনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার মুন। তিনি উপজেলার সকল শিক্ষার্থীর অভিভাবককে শিশুদের প্রতি সঠিক ভাবে যত্ন খোঁজ-খবর রাখার আহবান জানান। সেই সাথে সকল শিক্ষকদের তাঁদের স্কুলে পাঠদানের পাশাপাশি সপ্তাহে অন্তত একদিন বাল্যবিবাহের কু-ফল ও বয়ঃসন্ধিকাল বিষয়ে ধারণা ক্লাস নেওয়ার অনুরোধ করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে