আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে কথায় কথায় নালিশ করলেও মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কোনো কথা বলে না।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন ‘শুরু থেকেই এ সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।’

বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে নালিশ করে। কোথাও কী রোহিঙ্গাদের কথা বলেছে? গতকাল (বৃহস্পতিবার) শুনলাম, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা রোহিঙ্গাদের কিছু লোককে পুনর্বাসিত করবে। এভাবে বাংলাদেশে নিযুক্ত ১৪টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা আশ্বাস দিয়েছেন, তারাও এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন। আর তাদের কাছে নালিশ করে বিএনপি, কিন্তু রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে একটা কথাও বলে না।

রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের আসার পর কক্সবাজারের কুতুপালং শিবিরে ত্রাণসামগ্রী দেওয়ার নামে খালেদা জিয়া ফটোসেশন করেছিলেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত পাঁচ বছরে বিএনপি এ রোহিঙ্গাদের নিয়ে কথা বলেনি। একদিনও বলেনি। এখন এ বিশ্ব সংকটে কথা বলে। ভাসানচরে পুনর্বাসনসহ তাদের জন্য কি না করেছে সরকার। সাড়ে ১১ লাখ লোক আমাদের ঘাড়ে, মাথার ওপর। এত কিছু করার পরও তারা এখনো সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছে।

১৫ আগস্টের ঘটনা প্রবাহ বর্ণনা করে কাদের বলেন, এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত ছিল বিষয়টি পরিষ্কার। খুনিরা তার বাড়িটি ঘেরাও করার পর বঙ্গবন্ধু কয়েকজনকে টেলিফোন করেছিলেন। তাদের মধ্যে সেনা কর্মকর্তা ও তার রাজনৈতিক সহকর্মী ছিলেন। কে সাড়া দিয়েছিল জানি না। শুধু জানি টেলিফোন যাদের করেছিলেন তাদের মধ্যে সাড়া দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল। তিনি ছাড়া আর কেউ ছুটে আসেনি বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে তার সহধর্মিণী সহযোগিতা করেছিলেন। তেমনি শেখ রেহানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

দেশবাসীকে আরও কঠিন সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমরা কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা না। এ বৈশ্বিক বৈরী পরিস্থিতি আমরা সৃষ্টি করিনি। কিন্তু তারপরও মূল্য দিতে হচ্ছে আমাদের।

বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি ও সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে