কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী: একশতক জমিত একনা চালাম তুলি স্বামীকে নিয়া কোন রকম সংসার চলছিল। তাও আল্লাহ মোক আর একনা সন্তানোক থুয়া স্বামী কোনাক নিয়া যায়।

মুই একনা মহিলা মানুষ ছোয়া কোনাক নিয়া কোনটে যাইম,কি করি খাইম? বুঝের পাংনা। মুই বিদুয়া,মোর কাও নাই,তারে জন্যে মোক কাও কিছু দ্যায়ওনা।

সবায় সরকারী অনুদান পায়,ভাতা পায়,মুই পাংনা। মোর কষ্ট দেখার কাও নাই। গ্রামে গ্রামে ঘুরি রুটি বিস্কুট বেচাং যা দুইচার টাকা লাভ হয় সেখনা দিয়া কি হয় কনতো তোমরা? চাউল কিন্নুংতা তরকারি নাই,তরকারি কিনোংতা চাউল নাই। উটিকোনা বিক্রি না করলে মোক আর সন্তানোক উপাষ থাকের নাগে। তাও একবেলা খাংতা আর এক বেলা না খেয়া থাকের নাগে।

বুঝছেন বাহে মোর কষ্ট দেখার কাহো নাই। দুঃখের সাথে এসব কথা বললেন,নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডে সিদ্দাপাড়া গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের স্ত্রী হাছনা বেগম।

সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে ঐ বৃদ্ধ মহিলাটির অবস্থা। তিনি এক শতক জমিতে একটি চালা কোন রকম তুলে আছেন। কাজ করার মতো শরীরে কোন শক্তি নেই। ৫০ বছর বয়সে কি কাজ করতে পারে।

কাজ করতে গেলেও তাকে কেউ কাজ দিতে চায় না। একটি সন্তান রেখে তার স্বামী মারা যায়। একমুঠো ভাতের জন্য মানুষের দারে দারে ঘুরেন। এক বেলা খায় আর এক বেলা না খেয়ে থাকতে হয় তাকে।

মেম্বর,চেযারম্যানের কাছে অনুদানের জন্য গেলে কোন সারা পায়নি তিনি।। শুধু হাসনা বেগম নয় উপজেলার অনেক অসহায় পরিবার এভাবে দিন কাটাচ্ছে তাদেরকে দেখার কেউ নাই। সদর ইউনিয়নে পুষনা কাচারী পাড়া গ্রামের কহিনুর বেগম,মাগুড়া শাহ পাড়া গ্রামের লেবুজা বেগমসহ আরো অনেকে।

তারা সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত। বেশীভাগ স্বচ্ছল ব্যাক্তিরা সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে।
এলাকাবাসী জানান, ওই অসহায় ব্যাক্তি যদি সরকারি অনুদান বা ভাতা না পায়।

তার স্বামী মারা যাওয়ার আগে বা পরে কোন মেম্বর, চেয়ারম্যান তাকে সরকারি কোন অনুদান দেয়নি। ওই অসহায় ব্যাক্তি যদি সরকারি অনুদান বা ভাতা না পায়।

তাহলে কে পাওয়ার যোগ্য? আমাদের এলাকাবাসীর দাবী সরকারী কোন অনুদান আসলে ঐসব অসহায় মহিলাকে যেন দেওয়া হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে