ডেস্ক রিপোর্ট: বর্তমান আওয়ামী লীগে আওয়ামী লীগ নেই। ক্যাসিনো থেকে শুরু করে চুরি, ডাকাতিসহ সকল অপরাধের সাথে জড়িত এখন এই দলটির নেতারা। ঐসকল দিক বিবেচনা করে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা পিবিএ ( প্রেস বাংলা এজেন্সি) এর সাথে একান্ত স্বাক্ষাতকারে বলেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক সোহেল রানা।

আওয়ামী লীগ থেকে কেন জাতীয় পার্টিতে এসেছেন এই প্রশ্নের জবাবে সোহেল রানা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের  সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, আওয়ামী লীগে অনেক কাউয়া এসে ঢুকেছে’। অন্য এক নেতা বলেছেন, ‘অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা এসে ঢুকেছে। আসল আওয়ামী লীগ  এখন আর নেই।’ এরপর আমার আর কিছু বলার থাকে না।

তিনি বলেন,  ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধু মারা যাওযার পরও আমি আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম অনেক বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা একসাথে পড়াশোনাও করেছি। যদিও প্রধানমন্ত্রী  আমার একবছরের জুনিয়র ছিলেন কিন্তু আমার সাথে তার ভালো সম্পর্ক ছিলো। একসাথে রাজনীতি করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যেই যারা কাউয়া এবং হাইব্রিড নেতা তাদের সাথে কিভাবে আমরা থাকবো। বর্তমানেই কী হচ্ছে । আওয়ামী লীগের মধ্যেই আওয়ামী লীগ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ক্যাসিনো থেকে শুরু করে চুরি, ডাকতি,হাইজাক সকল অন্যায়।

অপরাধের সাথে ৮০-৯০ ভাগই এই দলের  লোকজন জড়িত। আমি তো সেই পার্টি করিনি। সেই কারণেই আমি ভেবেছি এতো হাইব্রিড নেতাদের মাঝে আমার পক্ষে সম্মান নিয়ে থাকাটা সম্ভব না।

সোহেল রানা বলেন, রাজনীতি সবসময় পরিবর্তনশীল। বঙ্গবন্ধুর সময় যে রাজনীতি ছিলো সেটাও পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু যে পরিবর্তন দেশের মানুষের জন্য সেই পরিবর্তন আমি মেনে নিতে পারি । বর্তমানে দেশের অনেক উন্নতি হয়েছে সেটা মেনে নিতে হবে। কিন্তু সেই উন্নতি আনতে গিয়ে যে মানসিক বা মানবিক অবনতি করেছি সেটা আমরা ফিরিয়ে আনবো কিভাবে। আমাদের একসাথে দুটি জিনিস করা উচিত ছিলো একদিকে রাজনৈতিক উন্নয়ন এবং মানসিক উন্নয়ন। মানুষকে মানুষ হিসেবে তৈরি করা। সেই উন্নয়নকে পিছিয়ে দিয়ে আমরা অন্য উন্নয়নে  এগিয়ে গেছি।  ফলে বর্তমানে আমরা কি দেখছি, শিক্ষিত মহল থেকে শুরু করে অনেক জ্ঞানী মহল এমন সব অপরাধের সাথে জড়িয়ে পরছে যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না।

বর্তমান এই  অবস্থার ইঙ্গীত আমরা খুঁজে পাই  বঙ্গবন্ধুর সেই কথা থেকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বলেছিলেন, সবাই পায় সোনার খনি আর আমি পাই চোরের খনি। আবার এমনও শোনা যায়, সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য কম্বল আসলো আমার কম্বলটা গেলো কোথায়। শুরুটা ঐখান থেকেই হয়েছিল। শুরুতেই শক্তভাবে কন্ট্রোল করার দরকার ছিলো।

তিনি বলেন,  সেখানেই জাতীয় পার্টি চেষ্টা করেছিলো , আমাদের নেতৃত্ব অনুভব করেছিলো আগে আমার উন্নয়ন দরকার, দেশের উন্নয়নের রূপকার হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ। উন্নয়নের ভিত্তিটা তৈরি করেছেন এরশাদ। এর কারণেই আমরা সারাবিশ্বে মাথা উচু করে বলতে পারি আমরা বাংলাদেশি, আমরা বাঙ্গালী। আমাদের বর্তমানে উন্নয়নটা অনেক দূর এগিয়ে গেছে কিন্তু আমাদের  মানসিন উন্নয়নটা হয়নি। এখন বিশ্ব আমাদের মানুষ না হবে অমানুষ বলছে।  এই জন্য রাজনীতিবিদের শুনতে হচ্ছে রাজনীতিবিদরা ভালো না, রাজনীতিবিদরা খারাপ। এই কথাটি শোনার জন্যতো আর রাজনীতি করেনি, জেলে যাইনি। সবদিক থেকে বিবেচনা করেই জাতীয় পার্টিতে  এসেছি।

P/B/A/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে