আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইন্দোনেশিয়া এবং এর প্রতিবেশী দেশ পূর্ব তিমুর। সেখানে এখন পর্যন্ত ১০১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

মুষলধারে বৃষ্টির কারণে ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরস দ্বীপপুঞ্জ থেকে পূর্ব তিমুর পর্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

বন্যা, ভূমিধসে শুধু ইন্দোনেশিয়ায়ই ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। বাকি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে পূর্ব তিমুরে।

সেখানে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষুদ্র এই দ্বীপটির অবস্থান ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মাঝখানে। বন্যায় দেশটির রাজধানী দিলি ডুবে গেছে। অধিকাংশ মৃত্যুই হয়েছে দিলিতে।

এদিকে, ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র রাদিত্য দাতি বলেন, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে বাঁধের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কাদামাটি এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে আটকে পড়া লোকজনকে বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

jagonews24

ওই সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের ধারণা এখনও অনেকেই মাটিচাপা পড়ে আছেন। তবে কতজন এখন পর্যন্ত নিখোঁজ তা পরিষ্কান নয়। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। এদিকে, এই দুর্যোগের মধ্যে বাড়িতে অবস্থান করছেন এমন অনেকেরই খাবার, ওষুধ এবং কম্বল প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এই বিপর্যয়ে হতাহত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন। খারাপ আবহাওয়ার সময় কর্মকর্তাদের পরামর্শ মেনে চলার জন্য তিনি সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দিয়েছেন।

বর্ষার মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধস প্রায়ই দেখা যায়। এর আগে গত জানুয়ারিতে পশ্চিম জাভা প্রদেশের সুমেদাং শহরে আকস্মিক বন্যায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া গত বছরের সেপ্টেম্বরে বোর্নো প্রদেশে ভূমিধসের ঘটনায় কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়।

GA/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে