মারুফ সরকার, বিনোদন ডেস্কঃ সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের শেষ দুই মাসে ১৩টি ছবি মুক্তির জন্য নির্ধারিত আছে বলে প্রযোজক পরিবেশক সমিতি সূত্রে জানা গেছে। আগামী সপ্তাহে মুক্তি পাবে আসমানী ও লিডার। এছাড়া অন্য ছবির মধ্যে রয়েছে বিসর্জন, স্বপ্নের ঘর, মুখোমুখোশের রুপক রুপক, ধ্বংস মানব, পাঠশালা, অনুপ্রবেশ, মি. বাংলাদেশ, ডনগিরি, আমার প্রেম আমার প্রিয়া, রাত্রির যাত্রী এবং হৃদয় ছোঁয়া কথা।

এর মধ্যে আসমানী এবং আমার প্রেম আমার প্রিয়া ছবি দুটি আগেই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে সংশ্লিষ্ট প্রযোজকরা ছবি দুটির মুক্তি পিছিয়ে দেন। মাত্র তিন সপ্তাহ আগে অনির্ধারিতভাবে নায়ক ও মাতাল ছবি মুক্তি দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মেঘকন্যা ছবির প্রযোজক আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নেন এবং এককভাবে মেঘকন্যা মুক্তি দেন। তাতে মেঘকন্যা ব্যবসায়িকভাবে উপকৃত হয়নি। লক্ষ্য করার বিষয় হলো, পরের সপ্তাহগুলোতে নায়ক বা মাতাল ছবিও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে প্রত্যাশাব্যঞ্জকভাবে সফল হতে পারেনি।

নায়ক মুক্তি পাওয়ার তিন দিন পর একজন বুকিং এজেন্টের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল নায়ক ছবিটি কেমন ব্যবসা করছে? তিনি এক কথায় জবাব দিলেন, ‘এদেশে কোনো নায়কই চলে না।’ তার এই জবাবটি ছিল দ্ব্যর্থক। তিনি বুঝাতে চেয়েছেন, নায়ক ছবিটির ব্যবসা যেমন সফল নয় তেমনি বাজার কাটতি নায়করাও প্রযোজক তথা দর্শকের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারছেন না। কিন্তু এই প্রশ্নটিই এফডিসিতে চলচ্চিত্রকর্মীদের কাছে করা হলে তারা বলবেন ‘ছবিগুলো কেমন ব্যবসা করেছে জানি না।’ কেউ কেউ এমন জবাব দিয়েছেনও। একজন অভিনেতা রসিকতা করে বললেন, ‘নায়ক নেশা করে মাতাল হয়ে গেছেন। ছবি চলবে কিভাবে?’

পক্ষান্তরে নায়ক এবং মাতাল নিয়ে নির্মাতাদের মধ্যে একটা আগ্রহ ছিল। তারা ভেবেছিলেন এ দুটি ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রের চেহারা হয়তো কিছুটা হয়তো বদলাতেও পারে। ছবি দুটির পরিচালক ইস্পাহানি-আরিফ জাহান এবং শাহীন সুমন বাণিজ্যিকভাবে সফল নির্মাতা হিসেবে পরিচিত। তারা অন্তত কিছু দর্শক সিনেমা হলে টেনে আনতে পারবেন। কিন্তু তারা সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। সুতরাং চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে সকলের মধ্যে হতাশা থেকেই গেল। দেখা যাক মুক্তি প্রতীক্ষিত ১৩ ছবি দিয়ে কি হয়?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে