hi-tech park

বিডি নীয়ালা নিউজ(১২ই আগস্ট ২০১৬ইং)- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্কঃ অনেক চড়াই-উৎড়াই পার হয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখতে শুরু করছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক। উন্নয়ন কাজের দিকে সামিট টেকনোপলিশ কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও ভালো গতিতেই এগিয়ে চলছে টেকনোসিটি। সরকারের প্রত্যাশা, প্রতিশ্রুত সময়েই চালু হবে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি।

শুরুটা ১৯৯৯ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি কিংবা ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর মতো গাজীপুরকে তথ্যপ্রযুক্তির ‘বৈশ্বিক গন্তব্য’ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্নে সিদ্ধান্ত হয় হাইটেক পার্ক স্থাপনার। যদিও রাজনৈতিক গ্যাড়াকলে দীর্ঘদিন ফাইলবন্দি থাকে স্বপ্ন। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে সেই ফাইলমুক্ত করে পার্কের প্রাণ ফিরিয়ে দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। উন্নয়ন কাজের জন্য গত বছর চুক্তিও হয় সামিট টেকনোপলিশ আর টেকনোসিটির সঙ্গে।

পাঁচটি ব্লকে ৩৫৫ একর জমির ওপর তৈরি হচ্ছে হাইটেক পার্ক। দ্রুত লাইসেন্স কিংবা করমুক্তির সুবিধা দিয়ে সেই পার্কে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন,  পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে এটি নির্মাণ করছি। আমরা আশা করছি যে, ’১৭ এর ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম ভবনটি হয়তো কার্যকর করতে পারবো। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ডেভেলপমেন্ট পার্টনার সেখানে বেশ কিছু ট্রেনিং সেন্টার, ইউনিভার্সিটি, কনভেনশন হল, হোটেল নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এরই মধ্যে হাইটেক পার্কে আসতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে একটি শ্রীলংকার প্রতিষ্ঠান। সরকার আশা করছে দ্রুতই আসবে আরও কিছু ভালো খবর।

জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ইতিমধ্যে কোরিয়ান, শ্রীলঙ্কান বেশ কয়েকটা কোম্পানি চুক্তি করে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। যেহেতু আমাদের হাইটেক পার্ক অথরিটি এবং আমাদের প্রাইভেট ডেভেলপার টেকনোপলিস ও টেকনোসিটি কাজ করছে, ফলে মালয়েশিয়ান এবং ইন্ডিয়ানরাতো যৌথভাবেই কোম্পানিতে আছে। এর বাইরেও অনেক জাপানিজ, কোরিয়ান, ইউরোপিয়ান এবং আমেরিকান কোম্পানি তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সূর্যবাতিতে আলোকিত হবে পার্ক। অবিকৃত থাকবে প্রাকৃতিক জলাধারগুলোও। সঙ্গে থাকবে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রশিক্ষণ ও আবাসন ব্যবস্থা। তার সঙ্গে যোগ হচ্ছে রেলযোগাযোগ, মাত্র আধঘন্টায় যাওয়া যাবে ঢাকা থেকে।

 

 

channel i

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে