PIC.29.06.2016
বিডি নীয়ালা নিউজ(২রা জুলাই ২০১৬ইং)অহেদুল ইসলাম খোকন, গাবতলী, বগুড়াঃ বর্ষার আগমনে যেন কদম ফুলের হাসি ফুটেছে। প্রকৃতি সাজে ভিন্ন রুপে। তবুও চিরচেনা অপরুপ সুন্দরের অধিকারী বনফুল কদম। এ বর্ষা’য় কদমফুল ফুটেছে বগুড়া’সহ উপজেলার গ্রাম্যঞ্চল এলাকায়। আর সেই চিরচেনা কদমফুল এখন হারিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি ধোয়া আষাঢের বাতাসে কদম ফুলের ঘ্রান যেন স্বপ্নের রাজ্যে দোলা খাচ্ছে। গ্রামবাংলার প্রকৃতি আর বৃষ্টির প্রতিটি রিমঝিম ফোঁটা যেন সবাইকে সম্মোহিত করছে। গ্রাম্যঞ্চলের বর্ষার আগমন বার্তা কদমফুল বগুড়া শহর কিনবা গ্রাম থেকে মফস্বল এলাকায় জেন আপন মহিমায় আগমন ঘটেছে। গাছে গাছে ফুটেছে কদমফুল। একটি দূলভ ফুলের নাম কদম। তবুও কদমগাছ এখন কম চোখে পড়ছে। এক সময় ছিল বর্ষা’র কদমফুল’কে নিয়ে গ্রামবাংলা’য় চর্চা হতো কবিতা ও ছড়া-গান সাহিত্যে ও উপন্যাস। শিল্প সাহিত্যে’র ঐতিহ্য কে টিকে রাখতে কদমফুলের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। কদমফুল আমাদের বর্ষা ও আষাঢ মাসের দূত। প্রাকৃতির বুকে জেন সৌরভ বাতাসে দুলছে কদমফুল। জৈষ্ঠ্যে’র শেষে আষাঢের শুরুতে কদমফুল ফুটে। বগুড়া জেলা’সহ গাবতলীতে উপজেলায় জেন কদমফুল হাঁসছে। গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে। কদমফুলের মৌ মৌ গন্ধে জেন দৃষ্টি কাটছে সবার। বর্ষার অনুভূতি ও অপরুপ সৌন্দর্য্যে’র দাবিদার কদমফুল। তবুও আমরা যেন বাড়ীর উঠানে একটি করে কদমগাছের সৌরভ পেতে চায়। কিন্তু বাড়ীর আঙ্গিনায় রাস্তায় দুপার্শ্বে ও পুকুরপাড়ে কদমগাছ ছিল চোখে পড়ার মত। আষাঢের কদমগাছ ফুলে ফুলে ভরে থাকতো। কদমফুল সৌন্দর্য্যে পিপাসুদের তৃপ্তি দিত। তরুন-তরুনী’রা কদমফুল তাদের প্রিয়জনকে উপহার দিত। মেয়েরা পড়তো খোঁপায়। খেলায় মেতে উঠতো শিশুরাও। ফলে কদমফুলের গাছ ঘরবাড়ী ও আসবাপত্রে কাজে ব্যবহার হতো। ম্যাচ ফ্যাক্টারী’তে কদমগাছের চাহিদা সবচেয়ে বেশী। কদমগাছ কমে যাওয়ায় এখন মানুষ ঐতিহ্যে ভুলতে বসেছে। সবাই এখন বাড়ীর আঙ্গিনায় ফলমূল ও ফুলের গাছ লাগাচ্ছে। ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে কদমফুলের গাছ। গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাঃ আহসান হাবিব জানান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ও সংস্কৃতি ঐতিহ্যে রক্ষায় কদমফুলের অবদান রয়েছে। কদমফুল সৌন্দর্য্যে বৃদ্ধি করে ফলে সবার মন খুশি থাকে। গাবতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার জানান, আমরা সবকিছু ভুলে গিয়ে বাড়ীর আঙ্গিনায় ফুল ও বনজ বৃক্ষের চারা লাগানোর পাশাপাশি সৌন্দর্য্যে বৃদ্ধির জন্য কদমগাছ লাগানো দরকার। এমনকি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি কদমফুল খায়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ সোহরাব হোসেন জানান, ব্যক্তি পযার্য়ে ছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্টান, হাট-বাজার ও সরকারী বেসরকারী জায়গায় কদমগাছ লাগানো প্রয়োজন। তাহলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে বৃদ্ধি পাবে। উপজেলা উপ-সহকরী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জুলফিকার আলী হায়দার জানান, সৌন্দর্য্যে ও মন ভাল রাখতে হলে কদমফুলের বিকল্প নাই। এবর্ষা’য় আমাদের সবাইকে একপক্ষে ১টি করে কদমফুলের গাছ লাগানো প্রয়োজন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে