সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী একজন বলছেন, ”ফেসবুক বা অন্য কোন সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি দেয়ার আগে অনেক দিক ভাবতে হয়। অনেক ছবি হয়তো আমার নিজের ভালো লাগে। কিন্তু সেটি অপরিচিত মানুষের সামনে দেখানো যায় না।

আন্তর্জাতিক রিপোর্টঃ যুক্তরাজ্যের ব্লগার এবং মডেল রক্সি নাফোসির ফেসবুকে ৪৬ হাজার অনুসারী রয়েছেন। কিন্তু তিনি বলছেন, ফেসবুকে তাকে ভেবেচিন্তে ছবি পোস্ট করতে হয়। বিষণ্ণ বা রাগের কোন ছবি তিনি দিতে পারেন না।

বিশ্ব নারী দিবসের প্রাক্কালে তাকে বিবিসির পক্ষ অনুরোধ করা হয়েছিল, ততটা ভালো নয়, পরীক্ষামুলকভাবে এমন কিছু ছবি ফেসবুকে দেয়ার জন্য। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, কেন সেটি তার জন্য কঠিন হয়ে উঠেছে।

নাফোসি বলছেন, ”যখন আমি সাধারণ কোন ছবি দিচ্ছি, আমার মনে হচ্ছিল, কিছু একটা যেন ভুল হয়ে গেছে। আমি ঠিক স্বস্তি বোধ করছি না। আসলে আমি করি, সামাজিক মাধ্যম হলো বাস্তব থেকে কিছুটা মুক্তির একটি জায়গা। সেখানে এমন কিছু দিতে চাই না, যা আমাকে ভালো অনুভূতি দেবে না।”

তিনি যোগ করেন, ”আর খারাপ কিছু দিতে চাই না, কারণ আমি চাই না মানুষ আমার দুর্বল দিকটা জানুক।”

 

বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল বাংলাদেশের কয়েকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীর কাছে। তাদের জিজ্ঞেস করা হয়, তারা ফেসবুক, টুইটার বা ইন্সটাগ্রামে ছবি দেয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো ভাবেন?

মিরপুরের বাসিন্দা ইলোরা চৌধুরী বলেন, ”ফেসবুকে আমার বন্ধুদের বাইরেও অনেক আত্মীয়স্বজন রয়েছেন। তাই আমি কখনো এমন কোন ছবি বা মন্তব্য করতে চাই না, যার কারণে তাদের সামনে আমাকে বিব্রত হতে হয়।”

তিনি বেশিরভাগ সময় পারিবারিক ছবি দিয়ে থাকেন বলে জানান।

যুক্তরাজ্যের ব্লগার এবং মডেল রক্সি নাফোসির বলছেন, ফেসবুকে তাকে ভেবেচিন্তে ছবি পোস্ট করতে হয়। বিষণ্ণ বা রাগের কোন ছবি তিনি দিতে পারেন না। যুক্তরাজ্যের ব্লগার এবং মডেল রক্সি নাফোসির বলছেন, ফেসবুকে তাকে ভেবেচিন্তে ছবি পোস্ট করতে হয়। বিষণ্ণ বা রাগের কোন ছবি তিনি দিতে পারেন না।

ধানমণ্ডির বাসিন্দা সোহানা ইয়াসমিন বলছেন, ”খুব বাছাই করা ছবিই আমি ফেসবুকে দেই। সম্ভব হলে একটু সেজে থাকা, দেখতে সুন্দর, এমন ধরণের ছবি। অনেক ছবি হয়তো আমার ভালো লাগে, কিন্তু সেটি ফেসবুক বা টুইটারে দিতে পারবো না। ব্যক্তিগত ছবি তো ইন্টারনেটে দিয়ে মানুষকে জানানোর কিছু নেই। কারণ এ ধরণের ছবিতে মানুষের প্রতিক্রিয়া ভালো হয়না।”

তবে বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফারহানা পারভিনের দৃষ্টিভঙ্গি একটু ভিন্ন। তিনি তার মনখারাপ, নতুন জামা, নতুন কোন খাবারের ছবিও ফেসবুকে দিতে পছন্দ করেন।

তিনি বলছেন, ”আমি আমার ভালোলাগার পাশাপাশি খারাপ লাগার বিষয়গুলোও বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই।”

রাজবাড়ীর বাসিন্দা মাহমুদা রহমান বলছেন, ”ফেসবুক বা অন্য কোন সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি দেয়ার আগে অনেক দিক ভাবতে হয়। অনেক ছবি হয়তো আমার নিজের ভালো লাগে। কিন্তু সেটি অপরিচিত মানুষের সামনে দেখানো যায় না। তাই এসব নিজের সংগ্রহে থাকলেও, কখনো ফেসবুক বা টুইটারে দেয়া যায় না।”

সামাজিক মাধ্যমে ছবি বা মন্তব্যের কারণে প্রায়শ বিব্রত হতে হয় বলেও তারা জানান। অনেকেই এমন সব মন্তব্য করেন যা শোভনীয় নয়। এরকম ক্ষেত্রে তারা এ ধরণের ব্যক্তিদের বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দেন বলে জানান।

বি/বি/সি/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে