ডেস্ক রিপোর্টঃ শারীরিক প্রতিবন্ধী রোকনুজ্জামান (২২) প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এগিয়ে যাচ্ছে। সবার দুটি হাত থাকলেও রোকনুজ্জামান মাত্র আধখানা হাতনিয়ে জন্মগ্রহণ করে। ওই হাত নিয়েই আর দশজনের মতো সে খাওয়া, প্রাকৃতিক কার্য সম্পাদন, পোশাক পরা সবই নিজে নিজে করে।
রোকনুজ্জামান বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে দর্শন বিভাগে অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র। রোকনুজ্জামানের বাড়ি মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দরবেশপুর শিমুলতলা গ্রামে। বাবা বিল্লাল হোসেন প্রান্তিক পর্যায়ের কাঠ ব্যবসায়ী। মা আর্জিনা বেগম গৃহবধূ। রোকনুজ্জামান লেখাপড়া নিয়েই সারাক্ষণ মগ্ন থাকে। একমাত্র ছোট বোন সামিয়ার (৩) সাথে চলে তার খুনসুটি।
রোকনুজ্জামান দুটি হাতছাড়া জন্ম নেয়। ডানদিকের হাতটি কনুই পর্যন্ত। সেখানে দুটি ছোট্ট আঙ্গুল। এই আঙ্গুল দিয়েই সে চামস ধরে ভাত খাওয়া, গোসল করা, গোসল শেষে কাপড় পরা, বইয়ের পাতার পর পাতা উল্টানো, কলম দিয়ে লেখাসহ সব কাজ করতে অভ্যস্থ হয়ে পড়েছে।
রোকনুজ্জামান বলেন, আমি আমার যোগ্যতা দিয়ে একটি সরকারি চাকুরি পেতে চাই। মামা খালুর জোর না থাকার কারণে যদি চাকুরি না মেলে তাহলে বাড়িসংলগ্ন একটি পুকুর আছে। ধার দেনা করে সেই পুকুরে মাছচাষ করে বাবা মায়ের মুখে হাসি ফোটাবো। এজন্য লেখা-পড়া শেষে একটি চাকুরির সন্ধান করবো। সে সরকারি অথবা বেসরকারি হোক।
রোকনুজ্জামানের বাবা বিল্লাল হোসেন জানান, ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাষাবাদ করতেও তো লেখা পড়া দরকার। ছেলে যতদিন লেখা পড়ায় আগ্রহী ততদিন পড়াবো। প্রয়োজনে শেষ সম্বল বাড়িটুকু বিক্রি করবো।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে