ডেস্ক রিপোর্টঃ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দেশের প্রতিটি সরকারি দফতরে সততা কর্নার করা যেতে পারে। সরকারি কর্মকর্তারা যদিও পরিণত বয়স্ক নাগরিক, তারপরও তারা যদি স্ব-স্ব দফতরে এভাবে সততার চর্চা করেন, তাহলে তাদের নৈতিক মূল্যবোধ আরও শানিত ও পরিশীলিত হতে পারে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর পলাশীর ব্যানবেইজ ভবনে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের দফতরে সততা কর্নার পরিদর্শন করে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন দেশের প্রায় ৩৩ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সততা সংঘের পাশাপাশি সততা স্টোর স্থাপন করতে চায়। ইতোমধ্যেই যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সততা সংঘ গঠন করা হয়েছে, এর প্রত্যেকটিতেই সততা স্টোর স্থাপন করা হচ্ছে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিটি সততা স্টোর স্থাপনে কমিশন থেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার করে টাকা দেয়া হবে।তিনি বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান স্বপ্রণোদিত হয়ে সততা স্টোর স্থাপন করছে।দুদক চেয়ারম্যান বলেন, টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে হলে দক্ষ মানবসম্পদের কোনো বিকল্প নেই। আর দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে হলে মানসম্মত শিক্ষার প্রয়োজন।

শিক্ষকদের ভূমিকার প্রশংসা করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আপনারাই আমাদের ভবিষ্যতের জিম্মাদার। এক্ষেত্রে মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক সবারই দায়িত্ব রয়েছে।তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে যেসব সুপারিশ প্রেরণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে। আমরা সম্মিলিতভাবে ফেল করা ছাত্রদের উত্তীর্ণ না করা, কিংবা এসএসসি পরীক্ষায় অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অনৈতিক কার্যক্রম স্তিমিত করছি। আমরা চাই আমাদের সন্তানরা পড়াশোনায় মনোনিবেশ করুক।

এসব কার্যক্রমের সুফল পেতে হলে কর্মপন্থার (পলিসি) সামঞ্জস্য ও চলমান বা অব্যাহত থাকা সমীচীন উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কর্মপন্থার সামঞ্জস্যতা চলমান না থাকলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশনসহ সব প্রকার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। দুর্নীতির নতুন নতুন উৎসের সৃষ্টি হয়।অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, শুধু টাকা হলে উন্নত দেশ হওয়া যায় না, উন্নত দেশ হতে হলে আদর্শবান নাগরিক, নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন, সহনশীল জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন।

তিনি জানান, দুদকের উদ্যোগে যেসব সততা স্টোর গঠন করা হয়েছে, সেগুলোতে কোনো আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এটি একটি আশার আলো।তিনি বলেন, আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় যেসব প্রতিষ্ঠান এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছেন, তা ফেরত দিতে হবে। নইলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তিনি বলেন, দুদকের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কাজের সুসমন্বয় রয়েছে। আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করছি। এ ধারা আমরা অব্যাহত রাখব। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন এর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মো. মনজুর হোসেন।

G/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে