ডেস্ক রিপোর্টঃ সরকারি মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের ফলে সংশ্লিষ্টদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে শ্রমিকদের স্বার্থে ৩, ৪ ও ৫ নম্বর গ্রেডে মজুরি সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে মজুরি সমন্বয় হলে প্রতিটি গ্রেডেই যৌক্তিক হারে মজুরি বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

রোববার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এ মজুরি ঘোষণা করেন।

এতে প্রথম গ্রেডে ১৮ হাজার ২৫৭, দ্বিতীয় গ্রেডে ১৫ হাজার ৪১৬, তৃতীয় গ্রেডে ৯ হাজার ৮৪৫, চতুর্থ গ্রেডে ৯ হাজার ৩৪৭ ও পঞ্চম গ্রেডে ৮ হাজার ৮৭৫ ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে গেল বছর সেপ্টেম্বরে মালিক-শ্রমিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পোশাক খাতে সর্বনিম্ন ৮ হাজার টাকা মজুরি চূড়ান্তের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে এ মজুরি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।

ওই সময় শ্রম প্রতিমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, পোশাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি হবে ৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে বেসিক ৪ হাজার ১০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ২ হাজার ৫০ টাকা এবং অন্যান্য ১ হাজার ৮৫০।

এর আগে ওই বছরের ১৪ জানুয়ারিতে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের নতুন মজুরি কাঠামো নির্ধারণে ন্যূনতম মজুরি কমিশন গঠন করে সরকার।

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১৩ সালের নভেম্বরে ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়। ঘোষণার এক মাস পর ডিসেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়। সে অনুযায়ী এন্ট্রি লেভেলে একজন শ্রমিক নিম্নতম ৫ হাজার ৩০০ টাকা মজুরি পাচ্ছেন। এর অতিরিক্ত বছরে ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পাচ্ছেন শ্রমিকরা। কিন্তু গার্মেন্টস শ্রমিকরা ন্যূনতম বেতন চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছিল ১৬ হাজার টাকা।

J/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে