আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ এ বছরই অনুষ্ঠিত হবে ভারতের সাধারণ নির্বাচন।নির্বাচন নিয়ে ভারতের ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রিতেও শুরু হয়েছে ব্যাপক তোড়জোড়।ইতিমধ্যে এমন কয়েকটি ফিল্ম মুক্তি পেয়েছে। যার বিষয়বস্তু ভারতীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সমালোচকরা বলছেন, এসব সিনেমার কাহিনীতে প্রোপাগান্ডাই বেশি।

ভারতের সিনেমা বিশ্লেষক নন্দনী রাম নাথের তথ্যমতে , নির্বাচন উপলক্ষে এ বছর এমন কয়েকটি সিনেমা বের হচ্ছে, যা সরাসরি রাজনৈতিক এজেন্ডা।দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপশি নির্দিষ্ট মতাদর্শও ফুটে ওঠেছে সে ছবিগুলোতে।

ডয়চে ভেলের উর্দূ সংস্করণে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রির সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নতুন কোন বিষয় নয়। বিখ্যাত অনেক অভিনেতাই রাজনৈতিক বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছেন। আবার অনেক রাজনৈতিক ঘটনাকেও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সিনেমার পর্দায়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুক্তি পাওয়া ১৯৮৩ সালের জানে বি দো ইয়ারু ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

রাজনৈতিক সিনেমা রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়েছে। সত্তরের দশকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্ধিরা গান্ধী কিসসা কুরসী কা এবং আন্ধি নামে দুটি সিনেমা নিষিদ্ধও করেন।

শুক্রবার ভারতে দ্য এক্সিডেন্টাল প্রাইমিনিস্টার ও উড়ি,দ্য সার্জিকেল স্ট্রাইক নামে দুটি সিনেমা রিলিজ হয়েছে। প্রসিদ্ধ দু জন রাজনৈতিক ব্যক্তির জীবনী নিয়েও দুটি সিনেমা সামনে মুক্তি পাবে।

ভারতের প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেস দ্যা এক্সিডেন্টাল প্রাইমিনিস্টার ছবিটির বিরুদ্ধে আদালতের দারস্তও হয়েছেন। যদিও আদালত তাদের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।

কংগ্রেসের অভিযোগ হলো, এ সিনেমাতে তাদের দলের একজন সিনিয়র নেতাকে অপমান করা হয়েছে এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদি ও তার দল বিজেপিকে বিশেষভাবে হাইলাইট করা হয়েছে।

ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতারা বলছেন, নির্বাচনের পূর্বে এমন ছবি নিশ্চিতভাবেই রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্যই বানানো হয়েছে। তারা বলছেন, এতে রাজনৈতিক নেতাদের কিছু লাভ হতেও পারে, তবে উদ্দেশ্যমূলক প্রোপাগান্ডা যেন না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

J/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে