নিজস্ব প্রতিবেদক কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) : কথা বলছে দয়ার নবী বাবা জান্নাতের চাবী….বাবা জান্নাতের চাবী হলেও কুলঙ্গার পূত্রের কাছে বাবা হয়েছে শত্রু। পিতাকে মারধর সহ মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে, পরে নিজেকে বাঁচানের জন্য নিজ স্ত্রীকে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পিতা সহ অন্যান্য ভাইকে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ফাসানোর জন্য হুমকী দিচ্ছেন পূত্র মোত্তাদুল হক।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ১০জুন বিকাল ৩ টায় নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের ফুলেরঘাট গ্রামে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ওই গ্রামের মোঃ মফেল উদ্দিনের ৩ ছেলে হামিদুল হক, মুরাদ হোসেন ও মোত্তাদুল হক, পিতা মফেল উদ্দিনের অসুস্থতার কারনে চিকিৎসা বাবদ ৫শত করে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন পিতাকে এবং তিন ছেলে, যথা সময় টাকা প্রদান করেন। কিন্তু ছোট ছেলে মোত্তাদুল হক টাকা দেওয়ার কথা শুনে তার স্ত্রী মোছাঃ কাজলী বেগম তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠে কেন তার বাবাকে টাকা দেওয়া হয়েছে।

পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিতা বৃদ্ধা মফেল উদ্দিন ছেলে ও ছেলের বউকে বলেন আমাকে টাকা দেওয়া যদি দোষ হয়েছে, তাহলে আমার বসতভিটে থেকে তোমরা বেড়িয়ে যাও। এই কথা বলার অপরাধে ছোট ছেলে মোত্তাদুল হক তার বৃদ্ধ পিতাকে কিলঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় এবং লাটি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন।

উল্লেখ্য যে, পিতা বৃদ্ধা মফেল উদ্দিনকে লাটি দিয়ে মারার অপরাধে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হলে, তখন নিজেকে বাঁচার জন্য তার স্ত্রী কাজলী বেগমকে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান এবং পিতা মফেল উদ্দিন ও দুই ভাই,বোন, ভাবি সহ সকলকে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার হুমকী প্রদান করছেন বলে বৃদ্ধা মফেল উদ্দিন অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদুল হোসেনের সাথে মুঠো-ফোনে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টি বৃদ্ধা মফেল উদ্দিনের ছেলে আমাকে অবগত করছেন এবং আমি ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যেকে বিষয়টি দেখার জন্য বিশেষভাবে বলছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে