1478010173

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ প্রতিবন্ধিতা হার মানাতে পারেনি স্কুল শিক্ষার্থী রফিকুলকে। অদম্য ইচ্ছা শক্তি তাকে এগিয়ে চলতে সাহসী করে তুলেছে। জন্মগতভাবে দুইটি হাত অচল হলেও পা দিয়েই চালিয়ে যাচ্ছে খেলাপড়া।

সকলকে তাক লাগিয়ে রফিকুল এবার জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা অংশ নিচ্ছে। হাত না চললেও পা দিয়েই উত্তরপত্রে ঝকঝকে লিখে দিচ্ছে।

প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাট গ্রামের ক্ষুদ্র পান দোকানী নাসির উদ্দিনের ছেলে এবং পাকেরহাট কামিল মাদ্রাসার ছাত্র হয়ে এবার জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার পরীক্ষার প্রথম দিন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পা দিয়েই উত্তরপত্র লিখে জমা দিয়ে কক্ষ পরিদর্শককে।

পিতা নাসির উদ্দিন ও মা রুবিনা বেগম বলেন, জন্মগতভাবেই রফিকুলের দুই হাত অচল। শিশুকাল থেকেই রফিকুলের লেখাপড়ার প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ রয়েছে। এ কারণে বাড়ি সংলগ্ন মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে সে পা দিয়ে লিখেই পঞ্চম শ্রেণির সমাপণী পরীক্ষায় ৩.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এখন জেডিসি পরীক্ষাও দিচ্ছে পা দিয়েই লিখে। এবার সে ভালো করবে।

রফিকুল ইসলাম বলে, শারীরিক প্রতিবন্ধীতার জন্য তাকে যদি আলাদাভাবে পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করা হতো তাহলে তার জন্য আরও ভালো হতো। স্বাভাবিক শিক্ষার্থীদের সাথে পরীক্ষা দিতে গেলে তাকে নিয়ে নানাভাবে উপহাস করা হয়। এতে সে খুব মনকষ্ট পায়। তবে পরীক্ষা ভালো হচ্ছে ‘এ’ গ্রেড পাবে বলে তার আশা।

রফিকুলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাকেরহাট কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহম্মদ রিয়াজুল ইসলাম বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলামের অদম্য ইচ্ছাশক্তিই তাকে এগিয়ে চলার সাহস যোগাচ্ছে। তবে ক্লাসের সময় তাকে শিক্ষকরা একটি আলাদাভাবে দৃষ্টি দিয়ে থাকেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে