আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আমিনুল ইসলামের জামাতা মোঃ লতিফুর রহমান রিয়াদকে (২৪) খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আশংকা করা হচ্ছে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে তার এই নিখোঁজ হওয়ার পেছনে কাজ করছে। এ ঘটনায় আমিনুল ইসলামের মেয়ে মোছাঃ আফরিন খাতুন (১৯) আজ শনিবার বিকেলে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন (ডায়েরি নং-৩৪৮)। আফরিনের দায়ের করা ডায়েরিতে উল্লেখ করেন, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে লতিফুর রহমান রিয়াদ কাউকে কিছু না বলে শহরের সাহেবপাড়ার বাসা থেকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মোবাইল ফোনের দোকানে চলে যান। রাত গভীর হওয়ার পরেও সে বাড়িত ফিরে না আসায় আফরিন বারংবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও সে মোবাইল ফোন রিসিভ করেনি। এর এক পর্যায়ে কল রিসিভ হলে হৈচৈ ও অনেক মানুষের সমাগমের আওয়াজ পাওয়া যায়। রাতে আমিনুল ইসলামের পরিবার, তার স্বজন ও বন্ধু বান্ধবরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুজি করেন।
এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম জানান, জামাতার বাবা মৃত ওমর ফারুক বিদেশে চাকুরি করতেন। তিনি বিদেশ থেকে ফিরে শহরের নতুনবাজারে একটি বস্ত্রবিতান, দুটি বাড়ি, একটি মোবাইলের দোকান ও প্রায় ৪ বিঘা জমি ক্রয় করেন। গত বছরের অক্টোবর মাসের ৬ তারিখে তিনি মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি একটি ডায়েরি লিখে যান। ওই ডায়েরিতে কোথায় কি পরিমান সম্পত্তি, টাকা পয়সা গচ্ছিত রেখেছিলেন তা উল্লেখ করেন। তবে ওই ডায়েরিটি বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে, নিখোঁজ হওয়ার পরে লতিফুর রহমান রিয়াদের স্বহস্তে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায় তার বাড়ি থেকে। চিরকুটে সে লিখেছে আমার মৃত্যুর জন্য বড় বোন জবেদা সুলতানা সাগরিকা ও দুলা ভাই মোঃ আনোয়ার দায়ী। এছাড়াও বড় মামা আলাউদ্দীন, ছোট মামা সাইদুর ইসলাম বাবলু ও তাদের বাবা লুতফর রহমান দায়ী। রিয়াদকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলামের পরিবার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে