মারুফ সরকার , ঢাকা থেকে :করোনা ভাইরাসের প্রভাবে স্থবির হয়ে পড়ছে গোটা বিশ্ব। এ ভাইরাস চীন থেকে ছড়িয়ে এখন বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই মহামারি আকার ধারণ করেছে। যার থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশও।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশের মানুষদের নিরাপদে রাখার জন্য সরকারের ঘোষিত লকডাউন চলছে। বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের গণপরিবহন ও সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত।

সবকিছু বন্ধ থাকলেও বন্ধ নেই গণমাধ্যম। দেশ-বিদেশের সকল ঘটনাগুলোকে মানুষের সামনে নখদর্পণ হিসেবে তুলে ধরতে জীবন বাজি রাখছেন সাংবাদিকরা। মানুষের নানা ঘটনাগুলোকে তুলে ধরতে সাংবাদিকরা সামনের সারিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখলেও তাদের পিছনে রয়েছে আরেকদল সৈনিক যারা নিপুণভাবে ছবির মাধ্যমে মানুষের দুঃখ-কষ্টের চিত্রগুলো তুলে ধরেছেন। একটা সংবাদ তৈরির পিছনে একজন প্রতিবেদক যতটা ভূমিকা রাখছেন তার সমপরিমাণে ভূমিকা রাখছেন একজন ক্যামেরাপার্সন।

বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতিতে যখন প্রশাসন, ডাক্তার, নার্স ও সাংবাদিকরা সামনের সারিতে থেকে সৈনিকের ভূমিকা রাখছেন। তেমনিভাবে একজন প্রতিবেদকের মতো ক্যামেরাপার্সনও জীবন বাজি রেখে সৈনিকের ভূমিকায় থাকছেন। একজন ক্যামেরাপারসন কতটা ভূমিকা রাখছেন সেই চিত্র তুলে ধরেন বৈশাখী টেলিভিশনের প্রতিবেদন তাসলিমুল আলম তাওহীদ। তিনি বলেন, একটা প্রতিবেদন তৈরির পেছনে ক্যামেরার পিছন থেকে একজন ক্যামেরাপার্সন বিচক্ষণতার সাথে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। তাদের তোলা সুন্দর চিত্রই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরির পিছনে প্রধান ভূমিকা রাখে।

প্রতিবেদক তাসলিমুল আলম তার সঙ্গে থাকা ক্যামেরাপার্সন আমির হামজার ভূয়েসী প্রশংসা করে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অনেক প্রতিবেদক বাসা বাড়িতে ছুটিতে থাকলেও আমির হামজা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিদিন মাঠে থেকে এসাইনমেন্ট তৈরি করছে। “দেশের যে সমস্ত জায়গাগুলো ঝুঁকিপূর্ণ সে জায়গাগুলোতে থেকেও মানুষের চিত্র তুলে ধরেছেন, মানুষকে সচেতন করার জন্য ভূমিকা রেখেছেন সেজন্য আমি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”

তিনি আরো বলেন, আমি শুধু আমির হামজা নয় এ সঙ্কট মুহূর্তে যেসকল ক্যামেরাপার্সন সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মানুষকে সচেতন করার জন্য ভূমিকা রেখেছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা রইলো। কারণ তারা না হলে আমাদের সংবাদ তৈরি করা কোনভাবেই সম্ভব হতো না।

শুধু আমির হামজা নয় তার সাথে আরো যারা কাজ করে যাচ্ছেন ক্যামেরা পারসন তারা হলেন মোহাম্মদ শামছুল হুদা, মোহাম্মদ নাসির আহমেদ, মোহাম্মদ মিঠুন ও মোহাম্মদ পলাশ হোসেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে