ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বিডি নীয়ালা নিউজ ( ১৬ই জুলাই ২০১৬ইং)-ডেস্ক রিপোর্টঃ   যারা সরকার পতন চায় তারাই ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি। তিনি বলেছেন খালেদা জিয়াও চাচ্ছেন পানি ঘোলা হোক। পানি ঘোলা হলে সেখানে তিনি মাছ ধরবেন।

শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ ও দমনে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শোলাকিয়ায় যারা হামলা চালিয়েছেন তাদের একজন জামায়াত নেতা এবং আরেকজন বিএনপি নেতার ছেলে। জামায়াতে ইসলাম এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আর বিএনপির কোনো কোনো নেতা এসবের ইন্ধনদাতা।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াও চান পানি ঘোলা হোক, ঘোলা পানিতে তিনি মাছ শিকার করতে পারবেন।’

ইতোমধ্যে গোয়েন্দা বাহিনীর জালের মধ্যে হামলাকারীরা এসে গেছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যে জানতে পারবেন কারা এদের ট্রেনিং দিচ্ছে আর কারা পরিকল্পনাকারী।’

আওয়ামীলীগের সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, আগামীতে পৃথিবীর সম্ভাবনাময় ১০ উন্নত দেশের কাতারে অন্যতম হিসেবে বাংলাদেশও রয়েছে। তাই এদেশ যাতে উন্নত না হতে পারেসে জন্য জঙ্গি হামলা হচ্ছে। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রও যুক্ত রয়েছে।’

কারবালার প্রান্তরে এজিদের বাহিনী ‘আল্লাহু আকবর’ শ্লোগান দিয়ে ইমাম হোসনকে হত্যা করেছিল। আজকের যারা এসব করে তাদের এজিদের অনুসারী উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ শক্রদের বিরুদ্ধে সমস্ত মুসলিম উম্মাহর ঐক্য প্রয়োজন।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়া জঙ্গিদের সাথে নিয়ে জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশ করতেন চান। কিন্তু জঙ্গিবাদ বিরোধী জাতীয় এক্য গড়ে তুলতে চাইলে জামায়াত ইসলামকে বাদ দিতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ বলেন, ‘ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পীর-আওয়লিয়াদের মাধ্যমে। ইসলামে যারা তরীকা মানে না, পীর-ওলি মানে না তারা ওহাবী, এরাই সারা বিশ্বে জঙ্গি হামলা করছে। বাংলাদেশে জঙ্গি সন্ত্রাসীদের চিরতরে দমন করতে হলে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি আর সুফীবাদে বিশ্বাসী মানুসের এ ঐক্য গড়ে তোলা সম্ভব।’

পিস টিভি জঙ্গিবাদে উস্কানী দিচ্ছে মন্তব্য করে তিনি পিস টিভি বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশে সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর, যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা কাজী আনোয়ারুল ইসলাম খান প্রমুখ।
 

banglamail24

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে