ডেস্ক রিপোর্ট :  ঈদ মানে আনন্দ আর এই আনন্দের দিনে নতুন জামা-কাপড় ছাড়া ঈদের আনন্দ হতেই পারেনা। আর তাইতো নড়াইলে দর্জি কারিগরদের দম ফেলবার ফুসরত নেই। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্তু কাজ করছে তারা। রোজা শেষে ঈদের দিনে নতুন পোশাক পরে খুশিতে মেতে উঠবে সবাই। মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বেড়েছে দর্জির ভিড়। অধিকাংশ দর্জির দোকানগুলোতে ১৫ রোজার পরে অর্ডার নেওয়া বন্ধ হয়ে যায় বলে রোজার শুরুতেই ছিট কাপড়ের দোকান গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
বিশেষ করে জেলার বিপনী বিতানগুলোতে তরুণ-তরুণীরা রোজার শুরু থেকে কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। ঈদ সামনে রেখে নিজেদের পছন্দমত পোশাক বানাতে ব্যস্ত সবাই। বিপনী বিতান থেকে নিজেদের পছন্দমতো কাপড় কিনেই ছুটছেন দর্জির দোকানে। আর ঈদকে কেন্দ্র করে অর্ডারের চাপে দর্জিপাড়ার ব্যস্ততাও বেড়েছে।জেলার পৌরসুপার মার্কেট, আলতাব হোসেন সুপার মার্কেট, সিকদার কমপ্লেক্সর রেক্স টেইলার্স, লেডিস কর্নার, স্টুডেন্টস টেইলার্সসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেখা গেল কারিগরদের দম ফেলবার সময় নেই। আপন খেয়ালে কোনো দিকে না তাকিয়ে সেলাইয়ের কাজ করে যাচ্ছে। নিয়মিত কাস্টমার ছাড়া পোশাক তৈরির অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে টেইলার্সগুলো।
এছাড়া পাড়া-মহল¬ার দর্জি দোকানগুলোতেও কাপড় সেলাইয়ের ব্যস্ততা। টেইলার্সগুলো ঘুরে দেখা যায়, রাতদিন চলছে সেলাই মেশিনের চাকা। কর্মীদের কেউ কাপড় কাটছেন, কেউ সেলাই করছেন, কেউ বোতাম লাগাচ্ছেন, কেউবা কাপড় ইস্ত্রি করছেন। এভাবে কাস্টমারদের চাহিদা মেটাতে দিন রাত জেগে কাজ করে যাচ্ছে তারা।শহরের মোল্যা ক্লথ স্টোরের মালিক আব্দুল মতিন মোল্যা বাসস’কে বলেন, এবারের ঈদে কাপড়ের মূল্য সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে বেচে কেনা অনেক ভাল হচ্ছে।
রেক্স টেইলার্সের মালিক সুজিত কুমার মজুমদার বাসস’কে বলেন, রোজার শুরু থেকে আমাদের অর্ডার নেওয়া শুরু হয়েছে। বিভিন্ন নামের বাহারি ডিজাইনের পোশাক তৈরি করা হচ্ছে।
শুভেচ্ছা ফ্যাশান হাউজের মালিক অঞ্জন দাস বাসস’কে জানান, ছোট বাচ্চাদের পোশাক, তরুণ-তরুণীদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে দোকানে পোশাক আনা হয়েছে। ক্রেতাদের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে বিক্রিও হচ্ছে ভাল।পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম বাসস’কে বলেন, পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে জেলায় আইন শৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বাজার গুলোতে সাদা পোশাকের পাশাপাশি পেশাক পরে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। সড়কের যানজট মুক্ত রাখতে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অতিরিক্ত অর্থ পরিবহনের জন্য পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার আহব্বানও জানান পুলিশ সুপার।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে