nobanno

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ অগ্রহায়ন মাস এলেই ঘরে ঘরে চলে নবান্নের উৎসব। তাই গ্রামীণ জনপদে বইছে এখন উৎসবের আমেজ। গ্রামে যাদের শিকড় কেবল তারাই এ উৎসবের মর্মার্থ অনুধাবনে সক্ষম। নতুন ফসল ঘরে তোলার আনন্দই আলাদা। এসময় কৃষকদের চোখে ভাসে হাসির ঝিলিক। কৃষকের ঘর ভরে উঠবে গোলা ভরা ধানে। অগ্রহায়নে অবসান হয় কৃষকের এই প্রতীক্ষার। বাড়ির আঙিনা নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠে। বিস্তৃত মাঠ জুড়ে থাকা পাকা ধান ঘরে তুলতে শুরু করেছেন কৃষকরা। একদিকে নতুন ধান ঘরে তোলা অন্যদিকে শীতের আগমনি বার্তায় কৃষকদের ঘরে বইছে আনন্দের বন্যা।

কৃষান ব্যস্ত নতুন ধানের চালের পিঠাপুলি তৈরিতে। ঢেঁকির ক্যাচকুচ আর খটখটানি শব্দে মুখরিত গ্রামীণ জনপদ। কেউবা মিলে চাল কুটিয়ে আটা তৈরি করে নিচ্ছেন। নতুন ধানের আটায় কৃষান বধূরা চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, তেল পিঠা, পাটিসাপটা, কুলি পিঠাসহ নানারকম পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। উপজেলা শহর ও গ্রামে গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চলছে দোকানিদের পিঠা তৈরির উৎসব। নারী-পুরুষ শিশু সবাই দাঁড়িয়েই চিতই, ভাপা ও তেল পিঠে খেয়ে নিচ্ছেন। এতে মৌসুমী দোকানীদেরও ব্যস্ততা ও আয় বেড়ে গেছে। এসময় জামাই- বেটিকে বাড়িতে আনার প্রবণতাও রয়েছে। মেয়েকেও বাপের বাড়িতে নাইয়র আনা হয়।

নতুন ধানের ভাত মুখে দেয়ার আগে মিলাদ ও গ্রামবাসীকে ডেকে বোয়াল মাছের নাবড়া দিয়ে ভাত খাওয়ার প্রবণতাও আছে কোন কোন এলাকায়। হিন্দু পরিবারে চলে পূজোর আয়োজন। এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকলেও কিছুটা সমস্যা হয়েছিল কৃষকদের। খরা ও পোকার ধকল কাটিয়ে এবার আমনের ভালো ফলন হয়েছে। ধানের ন্যায্য মূল্য পেলে কৃষকের হাসি অমস্নান থাকবে এমটাই প্রত্যাশা অনেকের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে