1478023175

ডেস্ক রিপোর্টঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৩৮ টি ঝুঁকিপুর্ণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। বিকল্প কোন ব্যাবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে জরার্জীর্ণ এসব স্কুল ভবনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে ভয় পাচ্ছে ফলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এ নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছেন সংশ্লিষ্ঠ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকগণ।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্র জানায়, এ উপজেলায় ১৬৯ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ঝুকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে ৩৮ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ও নির্মাণাধীন অবকাঠামো। বেশি ঝুকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে দক্ষিন বাহাগিলি কদমতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমবদি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিন কালিকাপুর ইউসুফ আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় ডুমরিয়া মাইজালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিঙ্গেরগাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়ভিটা ঘোনপাড়া জবান উদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভেড়ভেড়ি মাঝাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাড়াগ্রাম দোলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেলাবর পশ্চিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাগুড়া পীর ফকিরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন।
এসব ভবন ব্যবহারের অনুপোযোগী হওয়ায় অনেকটা আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে এখানে পরিচালিত হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। গত দুই দিনে কয়েকটি ঝুকিপুর্ণ বিদ্যালয় সরেজমিনে দেখা গেছে, জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবনগুলোর ছাদ ও দেয়াল থেকে খসে পড়েছে পলেস্তারা। বেরিয়ে এসেছে ছাদ ও বিমে মরিচা ধরা রড। সামান্য বৃষ্টিতেই ভবনের ছাদ থেকে চুঁইয়ে পানি পড়ে শ্রেণিকক্ষে। সম্প্রতি কদমতলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাদের কংক্রিট খসে পড়ে। কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পায় বলে এলাকাবাসী জানান।
উত্তর দুরাকুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, বিকল্প কোন ব্যাবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব ভবনে পাঠদান করাতে হচ্ছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসান জানান, ঝুকিপুর্ণ বিদ্যালয়গুলোর তালিকা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে নতুন ভবন নির্মাণ ও সংস্কার করা হবে।
আই/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে