জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীতে ৪২ জন কৃষকের ৬০ বিঘা জমিতে সৃজন করা হয়েছে কফি বাগান। এসব কফি চাষীদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করেছে কৃষি বিভাগ।

সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের আয়োজনে রবিবার ১৭ অক্টোবর বিকাল ৫টার দিকে জেলা সদরের দোগাছী মোড়লের ডাঙ্গা গ্রামে এসব কৃষি উপকরণ বিতরণ করেন প্রধান অতিথি কৃষি মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মো. মশিউর রহমান। ওই গ্রামের কফি চাষী সাংবাদিক মিল্লাদুর রহমান মামুনের কফি বাগানে বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরে উপ-পরিচালক আবু বক্কর ছিদ্দিক। এসময় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন কৃষি বিভাগের প্রকল্প পরিচালক মেহেদী মাসুদ, রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শষ্য) আফজাল হোসেন, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-সচিব মশিউর রহমান বলেন, কফি অত্যন্ত লাভজনক এবং দামী ফসল। বাংলাদেশে এর আবাদ আগে তেমন ছিলো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষি বান্ধব সরকারের উদ্যোগে কফি চাষ শুরু হয়েছে। এতে সহায়তা করছে কৃষি বিভাগ। এসময় কফি বাগান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে উপ-সচিব আরো বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে এই বাগানে ফল ধরবে। উৎপাদনের পর বাজারজাত করণেও সহায়তা করবে কৃষি বিভাগ। কৃষকদের আরো উদ্বুদ্ধ এবং চাষ বাড়াতে মন্ত্রনালয় তৃণমুলে গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছে। যা আজকের আমার পরিদর্শনের অংশ।
অনুষ্ঠানে কফি চাষের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন সাংবাদিক মিল্লাদুর রহমান মামুন। সাংবাদিক মামুন এক বিঘা জমিতে এবারই প্রথম কফি চাষ করছেন কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপ-পরিচালক আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, জেলায় ৪২ জন কফি চাষীর ৬০ বিঘা জমিতে ১৫ হাজার চারা রোপন করা হয়েছে। রোপিত এসব চারার মান ভালো। দুই বছরের মধ্যে এসব চারা ফল দেওয়া শুরু করবে।

সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন(২য় সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় ওই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সদর উপজেলার নয়জন কফি চাষীর মাঝে একটি করে বালাই নাশক স্প্রে মেশিন ও চারা কফি গাছে পুষ্টি সরবরাগের জন্য ২৫০টি করে সিলভামিক্স ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। এসব ট্যাবলেট গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করা হলে টানা এক বছর পুষ্টি সরবরাহ করতে পারবে। পর্যায়েক্রমে অন্যান্য চাষীদেরও ওই কৃষি উপকরণ প্রদান করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে